শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল, ২০১৯, ০৪:৫৪ সকাল
আপডেট : ৩০ এপ্রিল, ২০১৯, ০৪:৫৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আধুনিকতার পথিকৃত আমাদের নতুন সময়

অজয় দাশগুপ্ত, অস্ট্রেলিয়া থেকে : তিনি ই এদেশে আধুনিক ধারার সংবাদপত্রের জনক। এরশাদ পতনের পর একমুখি মিডিয়ার দিন খতম হয় । কিন্তু কি বা কারা নেবে নতুন জায়গা? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য সবুর করতে হয়নি বেশীদিন। এর আগেও সংবাদপত্র ছিলো। তারা এখনো আছে। ইত্তেফাক সংবাদের মতো খবরের কাগজের ইতিহাস ভোলা যাবেনা। কিন্তু তারা পারেনি । প্রচলিত ধারা ভেঙে নতুন ধারা আনায়নের পথিকৃত নাঈমুল ইসলাম খান। বয়সের চাইতে অগ্রগামী এই মানুষটি কি করেছিলেন? শুধু খবর বা গ্যাট আপেই পরিবর্তন আনেননি আজ যে সবাই দুহাতে কলাম লিখছেন বা নানা ধরণের লেখায় মিডিয়াকে পুষ্ট করছেন এ তাঁর অবদান। এর আগে সেই মান্ধাতা আমলের মতো জরাসন্ধ সত্যাসন্ধ বোবা মিয়া বা ছদ্মনামের লেখা গিলতো মানুষ। একসময় সেগুলো দরকারী ছিলো বৈকি। কিন্তু স্বনামে ছবি সহ লেখার ধারণা আর কারো মাথায় আসেনি তাঁর আগে। সেই যে শুরু এখন সে ধারা প্রাচীন বনেদি নতুন আগত সবাই মানছে। কারণ এটি ই বৈশ্বিক ধারা।

তিনি হয়তো গতিশীল বলেই সবসময় এক জায়গায় থাকেননি। কিন্তু যেখানে গেছেন সেটাই হয়ে উঠেছে নতুন কিছু। আমাদের সময়ে যতদিন ছিলেন ততদিন তার অনলাইন সার্কূলেশান ছিলো অভূতপূর্ব। এমন সাড়া আর কেউ ফেলতে পারেনি। এখন আমাদের নতুন সময় ও কম কিছু না। স্বল্প কলেবরের কাগজটিতে লেখার স্বাদ ভিন্ন ধরণের। এর ইন্টারনেট বা আন্তর্জালের প্রচার ও ঈর্ষনীয়। সব চাইতে বড় কথা পাঠকের ভালোবাসা। ঢাকার বিভিন্ন দৈনিক এখনো পুরণো বা বয়সী লেখকদের বাইরে কারো লেখা প্রথম বা শেষ পাতায় ছাপতে অনাগ্রহী। এই কাগজ তা মানে না। এটা একদিকে সম্মান আরেক দিকে লেখাকে গুরুত্ব দেয়া। যা মিডিয়ার জন্য জরুরী।

সংবাদপত্র কিংবা প্রিন্ট মিডিয়ার সামনে নানাবিধ বিপদের একটি নিউজ ও ভিউজের পার্থক্য ঠিক রাখা। বিভিন্ন দৈনিক ক্রমাগত ভিউজ বা মতামত নির্ভর হয়ে পড়ছে। এটা শুভ কিছু না। মানুষ কিন্তু খবর পড়ার জন্য কাগজ কেনেন। তার জানতে চায় আসল খবর। খবরের পেছনের খবর জানার আগ্রহ মেটানো বিদেশের কাগজগুলো এ বিষয়ে আমাদের উদাহরণ হতে পারে। অষ্ট্রেলিয়ার দুটি খবরের কাগজের কথা বলি। একটি ট্যাবলয়েড দৈনিক টেলিগ্রাফ আরেকটি প্রমাণ সাইজের দি অষ্ট্রেলিয়ান। টেলিগ্রাফ আমি পড়ি গুজব আর রসালো কাহিনীর জন্য। বাকীটি পড়ি খবর জানার জন্য। যারা সিরিয়াস পাঠক তারা সেটি পড়বেন ই। এই পার্থক্যে সার্কুলেশানের চাইতেও গুরুত্বে যেটিে গিয়ে সেটি ই করে জনমত গঠন। আমাদের দেশে তা হয়না। পপুলার খবরের কাগজ ই মানুষকে টানে বেশীল কারণ পাঠক আসলে সেভাবে তৈরী হয়নি। যে কারণে প্রগতিশীলতা উদারতা বা দেশ পড়ে বিপদের মুখে।

আমাদের নতুন সময় যদি মূলধারা অব্যাহত রেখে খবরকে গুরুত্ব দিয়ে মানুষকে ভালোবেসে চলতে থাকে তার অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবেনা। আরেকটা কথা বিনয়ের সাথে বলি, কিছু ঘটলেই যারা না বুঝে না জেনে মতামত লেখেন তাদের একটু সময় নিয়ে লিখতে দিলে মতপার্থক্য আর সন্দেহ ঘুচবে। এমনিতেই জাতির সমস্যার অন্ত নাই। এখন দরকার সত্যিকার আধুনিক আর উদার একটি সমাজ। যেন পত্রিকা পড়ে মানুষ সিখতে পারে যে তার ভবিষ্যত প্রগতিতেই থাকে থাকেনা কোন অন্ধকারে। আমাদের নতুন সময় দীর্ঘজীবী হোক। তার নেতার নতুন দিক নির্দেশনায় নতুন পথ খুলে দিক এই আমাদের চাওয়া।
লেখক : কলামিস্ট ও বিশ^বিদ্যালয় পরীক্ষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়