শিমুল মাহমুদ : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজকে একযুগের উপরে নির্বাসিত হয়ে আছেন। প্রতি মুহূর্তে তিনি দেশের কথা চিন্তা করছেন, দলের কথা চিন্তা করছেন। তিনি ভাবছেন কি ভাবে দেশে ফিরে আসার কথা।
তিনি বলেন, বেগম জিয়ার এতোটা অসুস্থ যে আমি বর্ণনা করতে পারবো না। আমি নিজে গিয়েছি দেখেছি, তিনি নিজে বিছানা থেকে একা উঠতে পারেন না। তাকে সাহায্য করতে হয়। হাটতে পারেন না হুইল চেয়ারে চলতে হয়। খেতে পারেন না। তার শরীর একদম ভালো নেই। আমরা কি তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ফোরাম আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে গুছিয়ে এক দলীয় শাসনের দিকে যাওয়া শুরু করেছে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা সেইভাবে প্রতিরোধ করতে পারিনি। কারণ আওয়ামী লীগ সমস্ত রাষ্ট্র -যন্ত্রকে দুঃশাসনের মধ্যে দিয়ে নজিরবিহীন নির্যাতন, নিপীড়ন চালিয়েছে। আমাদের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের মামলা দিয়েছে, গুম, খুন করেছে।
ফখরুল বলেন, এই খুব কঠিন সংকট, এই সংকটকে হাসি খেলার মধ্য দিয়ে উত্তরন সম্ভব নয়। আমাদের হতাশ হবার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের বুঝতে হবে আমরা অত্যন্ত কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এগুচ্ছি। সেই সংগ্রামকে সফল করতে হলে অবশ্যই আমাদের সমৃদ্ধ হতে হবে। আমরা যে কৌশলে যেতে চাই সেই কৌশলে সমৃদ্ধ হতে হবে।
বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, ৯০’র গণ-অভ্যুত্থান আর ২০১৯ এক সময় নয়। এই কথাটা মাথায় রেখেই আমাদের পরবর্তি রনকৌশল নির্ধারণ করতে হবে। আর এর জন্য ভাবতে হবে, বর্তমান পেক্ষাপটে সংগঠিতভাবে আরো কিভাবে শক্তিশালী করা যায়। যাতে বিশ্ব রাজনীতির সাথে লড়াই করতে পারে।
তিনি বলেন, আন্দোলন লড়ায়ের কোনো বিকল্প নাই। বড় কিছু পেতে হলে সংগ্রামের মধ্যেই পেতে হয়। আমাদের সংগঠন যদি শক্তিশালী হয়। সত্যিকার অর্থে যদি তৈরী হতে পারি বিজয় হতে পারি বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।
আপনার মতামত লিখুন :