মৌরী সিদ্দিকা : ২০১৪-র ভোটে হারের পরে এ বারে আসানসোল কেন্দ্রে সুচিত্রা কন্যাকে নিয়ে এসে জিততে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভোটের আগের দিনটা হাল্কা মেজাজেই কাটালেন আসানসোলের দুই প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় এবং মুনমুন সেন। ভোটের আগের দিন রোববার রাত ১০টা নাগাদ হাইওয়ে লাগোয়া তাঁর বর্তমান আস্তানার বসার জায়গায় তিনি শুধু নামলেনই না, খোশগল্প জুড়লেন ব্রেকফাস্ট, শপিং মলে ঘোরা আর বিউটিপার্লারে সারা দিনের সময় কাটানো নিয়ে।
তিনি মুনমুন সেন। দেখে বোঝার উপায় নেই যে, রাত পোহালেই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়তে চলেছেন তিনি। বিরোধী শিবির যেখানে খাতা-কলম হাতে বসে ভোটের দিনের পরিকল্পনা করছে, তিনি তখন গল্প করতে বসে বলে দিলেন, ‘অনেক দিন বাদে স্বামীর সঙ্গে একটা দিন কাটানোর সময় পেয়েছিলাম আজ। চুটিয়ে মজা করেছি। কাল কী হবে কাল ভাবা যাবে!’ ভোট রাজনীতির বাইরে বেরিয়ে তিনি এ দিন বড়ই ঘরোয়া!
প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই আসানসোলে পড়ে থাকা মুনমুন বললেন, ‘এতগুলো দিন এখানে কেটে গেল। হারি বা জিতি, এখানকার মানুষ আমায় মনে রাখবেন।’
ঝামেলার আশঙ্কার কথা শোনালেন আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়ও। অ্যাপার্টমেন্টে তিনি রোববার সন্ধে থেকে খাতা-পেন হাতে বসেছেন। মাঝেমধ্যেই চোখ রাখছেন টেবিলের কাচে ঢাকা, এলাকার মানচিত্রের দিকে। সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে ‘রুট-ম্যাপ’ ঠিক করার মধ্যেই বললেন, ‘ঝামেলা করবে তৃণমূল। আমি নিজে গাড়ি চালাব কাল। যেখানে মারতে আসবে, আমি যাব। ভোটারদের মারতে হলে আগে আমায় মারতে হবে।’
টিভিতে বিদেশি ফুটবল চ্যানেলের খোঁজে ব্যস্ত বাবুল বললেন, ‘আমি সব সময় রিল্যাক্সড। কোনও চিন্তা নেই।’ ‘রুট-ম্যাপ’ সাজিয়ে নিয়ে মেয়েকে কোলে তুলে নিলেন বিদায়ী সাংসদ। ভোট নিয়ে নিজের গাওয়া গান সাউন্ড বক্সে চালিয়ে নাচ শুরু হল বাবা-মেয়ের। দূরে বসে তাঁর গোটা পরিবার তখন দর্শক। নাচ শেষে তৃপ্তির হাসি হেসে বললেন, ‘দুপুরে মাংস-ভাত খেয়ে ঘুম দিয়েছি, আর রাতে মেয়ের সঙ্গে নাচটাও হয়ে গেল। কাল দেখি কে আটকায়!’
আপনার মতামত লিখুন :