ইউসুফ বাচ্চু : ঈদুল ফিতরের আগে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ। এর মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে ঈদের পর অবরোধের মতো বৃহত্তর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন এ হুঁশিয়ারি দেন।
পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন-অর-রশিদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, সরকারের বেশ কিছু মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে আন্দোলনকারীদের অনানুষ্ঠানিক আশ্বাস দিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় সংসদেও বহুবার আলোচনা হয়েছে। নবম ও দশম জাতীয় সংসদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে সুপারিশও করেছে। এত কিছুর পরও চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো হলো না। বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে আর কোনো দাবি এতবার জাতীয় সংসদের ইট-পাথরের দেয়ালের ভেতর বসে আইনপ্রণেতার পায়ে মাথা ঠুকে মরেনি।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যকে আংশিক সত্যের অপলাপ ও আংশিক ‘উদোর পি-ি বুধোর ঘাড়ে চাপানো’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২৩ বছর বয়সে শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের বিষয়টি পুরোপুরি অবান্তর। সংবিধানের ২৯ (১) অনুচ্ছেদে সরকারি নিয়োগ লাভে সুযোগের সমতার কথা বলা হয়েছে।
বিশ্বের ১৯২টি দেশের মধ্যে ১৫৫টি দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৫৫ বছর কোথাও কোথাও ৫৯ বছর পর্যন্ত। দেশে এখন শিক্ষিত বেকার ২৮ লাখের বেশি। শিক্ষিত বেকার পরিবারের জন্য বোঝা। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করা উচিত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :