শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল, ২০১৯, ০৮:০১ সকাল
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০১৯, ০৮:০১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৪ এমপি’র দিকে কড়া নজর বিএনপি’র

নিউজ ডেস্ক : একাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সাংসদদের শপথ নেয়ার সময় ফুরিয়ে এসেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলের এমপিরা শপথ নিলেও বিএনপির নির্বাচিত ৬ সদস্যের মধ্যে ৫ জন এখনো শপথ নেননি। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের এমপি জাহিদুর রহমান শপথ নেয়ায় বিএনপি তাকে বহিষ্কার করেছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

তবে বাকি ৪ সদস্য বিভিন্ন সময়ে শপথের আগ্রহের কথা জানিয়ে আসছেন। আর দলের নীতিনির্ধারকদের তাদের শপথ ঠেকাতে ও দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন। এমনি পরিস্থিতিতে শপথের শেষ দিনে রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সবার দৃষ্টি থাকছে বিএনপির নির্বাচিত চার সদস্যের দিকে। সংবিধানে বলা আছে, সংসদের প্রথম বৈঠকের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে সদস্যপদ বাতিল করে আসন শূন্য ঘোষণা করা হবে। একাদশ সংসদের প্রথম বৈঠক বসে গত ৩০ জানুয়ারি।

এই হিসাবে ২৯ এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচিত সদস্যদের শপথ নিতে হবে। সংসদ সদস্যদের শপথের নিয়মের বিষয়ে গতকাল সংসদের আইন শাখার এক কর্মকর্তা জানান, ৩০ এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ নিতে হবে। এই সময়ে সদস্যরা যদি শপথ না নেন বা সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন না করেন তাহলে সদস্যপদ বাতিল হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অভাবনীয় ফল বিপর্যয়ের কারণে শুরু থেকে বিএনপি ফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। পাশাপাশি নির্বাচিতদের শপথ না নেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এরপরেও নির্বাচিত ৬ সদস্যের মধ্যে মহাসচিব ছাড়া বাকি ৫ জন শপথ নেয়ার আগ্রহের কথা দলীয় ফোরামে জানিয়েছেন।

আর গত বৃহস্পতিবার দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাংসদ জাহিদুর রহমান শপথও নিয়েছেন। এরপর থেকে বাকিরাও শপথ নিতে পারেন এমন আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। কেউ কেউ সময় বাড়ানোর আবেদন করেছেন এমন গুঞ্জনও আছে। সংগত কারণে দলীয় শৃঙ্খলা ফেরাতে শনিবার স্থায়ী কমিটির বৈঠকে শপথ নেয়া জাহিদকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পাশাপাশি অন্য নির্বাচিতরা যাতে শপথ নিতে না পারেন সেজন্য নীতিনির্ধারণী ফোরামের এক নেতাকে দায়িত্বও দেয়া হয়। রোববার দিনব্যাপী শপথ ফেরানোর কার্যক্রম কতটা এগিয়েছে তা জানতে রোববার আবারও স্থায়ী কমিটির নেতারা বৈঠক করেন। পাশাপাশি আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয় নীতিনির্ধারণী ফোরামের নেতাদের। আলোচনা হয় দল বহিষ্কারের পাশাপাশি আইনি লড়াই করে হলেও অবাধ্যদের শায়েস্তা করা নিয়ে।

বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানান, জাহিদের শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে দলে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। এজন্য দলীয় শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং অন্য নির্বাচিতরা যাতে শপথ না নেন সেজন্য গতকাল দিনভর তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হয়েছে। জানানো হয়েছে গত দুই মাসে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে প্রায় দুইশত নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সূত্রমতে, জাহিদের বহিষ্কারের পরেও মহাসচিব ছাড়া অন্য নির্বাচিতদের সবাই শপথের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুন উর রশিদ, বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আবদুস সাত্তার এই চারজনের মধ্যে কমপক্ষে দুজন শপথ নেয়ার সিদ্ধান্তে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত অনড় ছিলেন। বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানান, শপথ প্রশ্নে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপির নির্বাচিতরা দোটানায় আছেন। তাদেরকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা চলছে।

তাই সময় শেষ না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়। মোকাব্বিরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংসদ হিসেবে শপথ নেয়ায় মোকাব্বির খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে গণফোরাম। নোটিশের জবাব দিতে তাকে ১০ দিন সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়, শপথ নেয়ার বিষয়টি অনৈতিক ও দলের সিদ্ধান্তের পরিপন্থি।

শপথের বিষয়ে গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের সম্মতি নেয়ার বিষয়ে মোকাব্বির মিথ্যাচার করেছেন বলেও চিঠিতে উলেস্নখ করা হয়। গণফোরামের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোকাব্বির ২ এপ্রিল শপথ নেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন নেতাকর্মীরা। সর্বশেষ গত শুক্রবার দলের বিশেষ কাউন্সিলে মোকাব্বিরের অংশ নেয়া নিয়ে নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর আগে গণফোরাম থেকে নির্বাচিত আরেক সাংসদ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর শপথ নিলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সূত্র : যায়যায়দিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়