লিহান লিমা: ভারতের লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ থেকে শুরু হচ্ছে ৯টি রাজ্যে ৭২টি আসনে চতুর্থ দফার নির্বাচন। ৯৫৭জন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী। এদের মধ্যে রয়েছেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সভাপতি কানহাইয়া কুমার, প্রাক্তন কেন্দ্রী মন্ত্রী মিলিন্দ দেওরা, অখিলেশ যাদবের স্ত্রী ডিম্পল যাদব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, গিরিরাজ সিং, অভিনেত্রী মুনমুন সেনসহ আরও অনেকে। ওয়ানইন্ডিয়া, এনডিটিভি

২৩ তারিখ সাত দফা নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশ হলেও এর আগেই পূর্বের তিন দফা নির্বাচনে হিসেব-নিকেশ শুরু করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতের গণমাধ্যম ওয়ান ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত তিন দফার নির্বাচনে বিজেপি অন্তত ৬০টি আসন হারাতে পারে। এই ধারা বজায় থাকলে বিজেপি’র আসন সংখ্যা ২০০-র নীচে নেমে যেতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, তৃতীয় দফায় উত্তরপ্রদেশে ১০টির মধ্যে ১ থেকে ৪টি আসন পেতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে পাঁচটির মধ্যে একটিতে তারা লড়াইয়ে আছে। বিহারে পাঁচটির মধ্যে একটি পেতে পারে বিজেপি।

তবে কর্ণাটক-মহারাষ্ট্রে বিজেপি ভালো ফল করতে পারে। কংগ্রেস-জেডিএস এখানে সেভাবে লড়াই করতে পারবে না। ১০টির মধ্যে বিজেপি সাতটি পেতে পারে। মহারাষ্ট্রেও বিজেপি দুটি আসন হারাতে পারে তৃতীয় দফায়। ১৪টির মধ্যে বিজেপি-জোট পেতে পারে ৬টি, কংগ্রেস-জোট পেতে পারে ৮টি।

ছত্তিশগড়ে বিজেপি ধাক্কা খেতে পারে। তৃতীয় দফায় সাতটি কেন্দ্রে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে ছটি পেয়েছিল বিজেপি। এবার তারা মাত্র দুটি পেতে পারে। কংগ্রেস পেতে পারে সাতটির মধ্যে পাঁচটি আসন। ওড়িশাতেও বিজেপির বড় লাভ হবে না। ৬টির মধ্যে বিজেডি একটি আসন কম পেতে পারে। সেই আসনটি পেতে পারে বিজেপি।

গুজরাটের গ্রামীণ এলাকায় বিজেপির খারাপ ফল হতে পারে। ২৬টি আসনই বিজেপির দখলে ছিল গতবার। এবার ১৯টি আসন বিজেপি পেতে পারে, বাকি ৭টি আসন কংগ্রেসের দখলে যেতে পারে। আসামে তৃতীয় দফায় ৪টির মধ্যে ১টি আসন বিজেপি দখলে রাখতে পারে।