শিরোনাম
◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ

প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৩৮ দুপুর
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৩৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সারা বিশ্বে একইদিনে রোজা শুরু এবং ঈদ পালনের দাবি শরীয়ত বিরোধী

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারিভাবে ভুল তারিখে পবিত্র শা’বান মাস শুরু করায় চাঁদের তারিখ নাসী করাসহ এবার সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের দুই দিন এবং ভারতের সাথে এক দিন পার্থক্য তৈরি হয়েছে। তাই আসন্ন রমাদ্বান শরীফ মাসের চাঁদ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তালাশের আহবান জানিয়েছে সম্মানিত শরীয়ত উনার ফায়সালা।

রোববার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের আকরাম খাঁ হলে ‘মাজলিসু রুই্য়াতিল হিলাল’ এর উদ্যোগে ‘পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসের পবিত্র চাঁদ দেখার গুরুত্ব এবং রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, ইনহেলার, স্যালাইন ইত্যাদি নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সেমিনারে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বিশিষ্ট চাঁদ গবেষক ও ফার্মাসিষ্ট এবিএম রুহুল হাসান এবং দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মুফতিয়ে আ’যম আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ আযীযুল্লাহ।

আলোচকরা বলেন, সম্মানিত শরীয়তের দৃষ্টিতে রোযা অবস্থায় পাকস্থলী বা মগজে কিছু প্রবেশ করলেই রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে; তা যেভাবে এবং যে স্থান দিয়েই প্রবেশ করুক না কেন। একইভাবে সম্মানিত শরীয়ত অনুযায়ী আকাশে খালি চোখে চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করতে হয়। তাই পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখা গেলে তা সেই দেশ বা মাতলার জন্য প্রযোজ্য। সারা বিশ্বের জন্য নয়। সে দাবি নব্য ভ্রান্তবাদীদের দাবি।
রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, স্যালাইন নেয়া প্রসঙ্গে আলোচকরা বলেন, স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি অসুস্থ ব্যক্তির জন্য রোযার পরে ক্বাযা আদায় অথবা ফিদিয়া দেয়ার ব্যবস্থা রেখেছেন, সেখানে একশ্রেণীর কথিত মুফতি ও অজ্ঞ ডাক্তার ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দাবি করেছে, রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, স্যালাইন, ইনহেলার নিলে রোযা ভঙ্গ হবে না। যা সম্পূর্ণ ভুল ও কবীরা গুণাহের কারণ।

পবিত্র হাদিস শরীফ উনার বর্ণনা মুবারক উনার পরিপ্রেক্ষিতে অনুসরণীয় সমস্ত ইমাম, মুজতাহিদ ও ফক্বীহগণ ফতওয়া দিয়েছেন যে, রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, ইনুসলিন, ইনহেলার ইত্যাদি নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ। যা ফিক্বাহ’র বিশ্বখ্যাত কিতাব- ফতওয়ায়ে শামী, বাহরুর রায়িক, ফতহুল ক্বাদীর, হিদায়া, আইনুল হিদায়া, জাওহারাতুন নাইয়্যারাহ ইত্যাদি কিতাবে উল্লেখ আছে।

আর চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, যে কোন পদ্ধতিতেই ইনজেকশন নেওয়া হোক না কেন, ইনজেকশনের ওষুধ কিছু সময়ের মধ্যে রক্তস্রোতে মিশে যায়, রক্ত এমন একটি মাধ্যম, যার সাথে সরাসরি শরীরের প্রত্যেকটি কোষ (Cell) ও কলা (Tissue)-এর সংযোগ রয়েছে। ফলে তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং রক্তের মাধ্যমে তা কয়েক মিনিটের মধ্যে মগজে পৌঁছে যায়। এ ব্যাপারে Goodman Gilman Pharmacologz- তে বলা হয়েছে -ÒHeart, liver, kidnez, brain and other highlz perfused organs receive most of the drug during the first few minutes after absorption.

সারা বিশ্বে একইদিনে রোজা শুরু বা ঈদ পালন করার দাবির প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, সারা বিশ্বে একইদিনে রোজা শুরু বা ঈদ পালন করার দাবি করা সম্মানিত শরীয়ত উনার বিরোধী। সউদি আরব পবিত্র কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফ অনুসরণ না করে এবং খালি চোখে চাঁদ না দেখে ‘উম্মুল কুরা’র মনগড়া নিয়ম ব্যবহার করে আরবী মাসের তারিখ ঘোষণা করায় বা তারিখ হেরফের করায় মুসলমানদের ফরজ ইবাদত হজ্জ, রোজাসহ অন্যান্য ইবাদত বন্দেগী বাতিল হচ্ছে। সারাবিশ্বে যারা তাদের অনুসরণ করছে তারাও ফরজ ইবাদত বন্দেগী নষ্ট করছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়