সাইদুর রহমান: চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, ‘ওয়ান বেল্ড ওয়ান রুট’ এর দ্বিতীয় সম্মেলনে ৬৪ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। প্রকল্প নিয়ে সন্দেহ ও অনিশ্চয়তা দূর এবং প্রকল্পে অংশগ্রহনকারী দেশগুলোর টেকসই উন্নয়নের লক্ষেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
জিনপিং বলেন, চীনের সঙ্গে এশিয়া, ইউরোপ তথা পুরো বিশ্বকে যুক্ত করার লক্ষ্যে অতীতের সিল্ক রোড পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টায় এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উচ্চমানসম্পন্ন, টেকসই, ঝুঁকি প্রতিরোধী, যুক্তিসংগত ব্যয়ে সমন্বিত অবকাঠামো নির্মাণের ফলে প্রতিটি দেশের সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতে সহায়তা করবে এ উদ্যোগ।
সম্মেলনে অংশগ্রহনকারীদের সন্তুষ্ট করতে চেষ্টা করছে চীনা কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, তারা কাউকে মোটা ঋণে জর্জরিত করতে চাচ্ছে না, কেবল সকল অংশীদারদের উপকারিতাই চাচ্ছে।
সম্মেলন শেষে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ব নেতারা একমত হয়েছেন যে, ঋণ সর্ম্পকিত সকল আন্তর্জাতিক প্রকল্পের অর্থায়নকে সম্মান করতে হবে এবং পরিবেশ বান্ধব অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রচারণা চালাতে হবে।
আর্থিক বাজারের বিবরণী প্রকাশে বিশিষ্ট কোম্পানি রিফাইনেটিভ জানিয়েছে, চীনের এ প্রকল্পের প্রকৃত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩.৬৭ ট্রিলিয়ন ডলার। যা এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, ওশেনিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকা পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
তবে অনেক দেশের আশঙ্কা , আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আধিপত্য বাড়াতেই চীন এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এই প্রকল্পে অংশ নেওয়ায় বেশ কয়েকটি দেশ ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়বে। এসব আশঙ্কা নাকচ করে চীনের দাবি, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়বে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে তা বড় রকমের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সূত্র: রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :