কেএম নাহিদ : রোহিঙ্গা সমস্যা দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে আগ্রহ হারাচ্ছে দাতারা ৯২০ মিলিয়ন ডলার চাহিদার মধ্যে গত বছরের প্রথম ৪ মাসে পাওয়া গেছে ১৫৬ মিলিয়ন ডলার যা চাহিদার মাত্র ১৭ শতাংশ। প্রাপ্ত অনুদানের ১০৬ মিলিয়ন ডলার দেয় আমেরিকা যা প্রাপ্ত অনুদানের দুই তৃতীয়াংশ। বিশ্বের অন্যান্য দেশ এবং সংস্থা মিলে মাত্র ৫০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। ভয়েস অব আমেরিকা
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং মানবিক বিষয়ক ও জরুরি ত্রাণ সমন্বয়ক সংস্থার প্রধান মার্ক লোকক বলেন, সাহায্য আবেদনের পর ১৭ শতাংশ অর্থ পাওয়া ভালো কথা নয়। রোহিঙ্গাদের ওপর যে অন্যায় অত্যাচার হয়েছে তা যেনো বিশ্ববাসি ভুলে না যায়। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে আশ্রয় দিয়ে যে উদারতার পরিচয় দিলো তা বিশ^ সম্প্রতদায়কে মনে রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববাসি এই বার্তাটি ভুলে গেছে? রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে অন্যায় ভাবে। তাদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে। রোহিঙ্গারা হত্যা, ধর্ষণসহ নানা নির্যাতনের দেশ থেকে শরনার্থী হয়েছেন, বিশ্ববাসিকে তা মনে রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত বাংলাদেশের স্থানীয় জনগণ তাদের আশ্রয় দিয়ে মহানুবতার পরিচয় দিলো সে কথাও ভুলো যাওয়া চলবে না। তাদের সঠিকভাবে প্রতিপালনে বাংলাদেশ অনেক ঝুঁকিতে পড়ছে সেটা মনে রাখতে হবে। বিশেষ করে স্থানীয়রা অনেক ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে দিন পার করছে। তাদের সুষ্ঠভাবে প্রতিপালন করতে অর্থের কেনো বিকল্প নেই।
আপনার মতামত লিখুন :