জুয়েল খান : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট না দেয়ায় সুবর্ণচরের এক নারীকে ধর্ষণ করা হয়। পুলিশ অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে যে কারণেই ধর্ষণ করা হোক না কেন, ধর্ষণ একটা জঘন্যতম অপরাধ এবং এর সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে, এমনটাই মনে করেন মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বানু।
তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় একজন নারী প্রথমে বিচার পাওয়ার জন্য যার কাছে যান তিনি হলেন স্থানীয় থানার পুলিশ। আর এই জায়গাটা এখনও নারীবান্ধব হয়ে ওঠেনি। আমরা যতোই নারীবাদী কথা বলি আমাদের স্থানীয় থানা যতোদিন নারীবান্ধব না হবে, ততোদিন নারী নির্যাতনের বিচার শতভাগ হবে না। একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা যে প্রতিবেদন দেবে সেই প্রতিবেদনের ওপরে ভিত্তি করে আদালতে বিচার কার্য পরিচালনা করা হবে, সুতরাং এই জায়গাতে সবার আগে নারীবান্ধব করে তুলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষ তখনই জানতে পারে যে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে তাহলে পুুলিশ কীভাবে প্রতিবেদনে দেয়, পূর্বশত্রুতার কারণে ধর্ষণ করা হয়েছে। তার মানে পুলিশ কোনো কারণে প্রভাবিত হয়ে এমন প্রতিবেদন দিয়েছে। পূর্ব শত্রুতার কারণ হলেও এর জন্য নারীকেই কেন বেছে নেয়া হলো। আমাদের সমাজ যখন এগিয়ে যাচ্ছে নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তখন সমাজের কাছে যদি নারী নিরাপদ না থাকে তাহলে এই উন্নয়ন বিনষ্ট হবে।
আপনার মতামত লিখুন :