স্বপ্না চক্রবর্তী : এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। আসন্ন রমজান মাসকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা সুকৌশলে দাম বৃদ্ধি করেছে বলে দাবি করছেন ভোক্তারা। শনিবার রাজধানীর কারওয়ান কাঁচাবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, এবারে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াচ উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু এখন মৌসুম শেষের পথে। তাই দাম বাড়ছে। আগামী কয়েক দিনে দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানানা তিনি। তবে ব্যবসায়ীদের এই দাবিকে নাকচ করে দিয়েছেন ক্রেতারা। তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রতি বছর রমজান মাস আসলেই নানা অজুহাতে নানা নিত্যপেণ্যের দাম বাড়ায় এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
মগবাজার বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবি আখিঁ বলেন, যে হারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তাতে মানুষকে না খেয়ে থাকতে হবে। অন্য দেশে রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম কমলেও আমাদের দেশের অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ায়। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে পেঁয়াজ কিনেছিলাম প্রতি কেজি ৩০ টাকা। কিন্তু এই সপ্তাহে দাম চাচ্ছে ৪০ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা ভালোমানের দেশি পেঁয়াজের পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি করছেন ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১০০ টাকা। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম পাল্লায় বেড়েছে ৩০ টাকা পর্যন্ত। পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে বাজারটির ব্যবসায়ী খাইরুল বলেন, রোজার কারণে এখন পেঁয়াজের দাম একটু বেড়েছে। সামনে হয়তো আরেকটু বাড়তে পারে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রবণতা তুলনামূলক কম। কারণ, এবার পেঁয়াজের ফলন খুব ভালো হয়েছে।
এদিকে রামপুরা ও খিলগাঁও অঞ্চলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা ভালোমানের দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি করছেন ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৮ থেকে ৩০ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ২৫ টাকা। অর্থাৎ খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
এ বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে যে পেঁয়াজ ২৫ টাকা কেজি বিক্রি করেছি এখন তা ৩৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। মূলত রোজার কারণেই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। রোজায় হয়তো দাম আরও বাড়বে।
আপনার মতামত লিখুন :