দেবদুলাল মুন্না:মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব শমী কায়সার গত ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে তার দুটি মোবাইল চুরির ঘটনায় সাংবাদিকদের সাথে যে নিছক ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে এটি তিনি জানিয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে ফেসবুকে গতকাল একটি পোস্ট দেন ও বলেন, ‘ ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’ উদ্বোধনকালে বক্তব্য দিতে যাই আমি। বক্তব্য শেষ করে কেক কাটার সময়ই হঠাৎ দেখি- আমার স্মার্টফোন দু’টি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ফোন দু’টিতে কল দিয়ে তখনও সচল পাচ্ছিলাম। আসলে মুঠোফোন আমাদের সবার জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে সেখানে। আয়োজকরা ঘটনা জানার সাথে সাথে মিলনায়তনের মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেয় আমি সে সময় আমার সিকিউরিটির সাথে দাড়িয়ে কথা বলি। আমার সামনে কোন দেহ তল্লাশির ঘটনা ঘটেনি। সবাই প্রতক্ষ্য করেছে আমি চুপচাপ দাড়িয়েছিলাম । তেমন ধরনের কোন কটূক্তির প্রশ্নই ওঠে না। সম্পূর্ণটাই শুধু ভুল বোঝাবুঝি ছাড়া আর কিছু না।পরে সাংবাদিক ভাইদের ক্যামেরায় কিছু চলমান ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে কেক নিয়ে আসা লাইটিংয়ের এক কর্মী স্মার্টফোন দু’টি নিয়ে গেছে। তা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। খোজ নিয়ে জানা যায়, সে মূলত অসাধু কারণে এখানে এসেছিল এবং সে এর আগেও প্রেসক্লাবে ও শিল্পকলায় এইরুপ জঘন্য কাজ করেছে ।প্রেস ক্লাব আমার নিজের জায়গা বলেই আমি দাবি অনুভব করি। আয়োজকরা এবং উপস্থিত সবাই দু:খপ্রকাশ করেন। আমি স্বাভাবিক ভাবেই খুব আপসেট ছিলাম, বর্তমান যুগে মোবাইল একটি অপরিহার্য জিনিস। কারণ মোবাইল শুধু আমাদের এলার্ম, ঘড়ি ক্যামেরা রিপ্লেস করেনি, মোবাইল আমাদের পুরো অফিসকে কভার করে, ব্যাংকিং মেনটেন করে। যাহোক আমি এমন কোন অসম্মানজনক বক্তব্য দেই নি এবং আমি একজন দেশবরেণ্য সাংবাদিক এর সন্তান হিসেবে তাৎক্ষণিক দাড়িয়ে পুরো ঘটনাটির জন্য সকল উপস্থিত সাংবাদিক ভাইদের প্রতি‘দুঃখ প্রকাশ’করি। এটা আসলেই সম্পুর্ন ভাবে একটি ভুল বোঝাবুঝি।’
আপনার মতামত লিখুন :