নুর নাহার : দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সংসদে যোগ দেয়ায় গণফোরামের কার্যালয় থেকে মোকাব্বির খানকে ‘গেট আউট’ বলে বের করে দিয়েছিলেন দলটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন। এবার সেই মোকাব্বির খান গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিলে যোগ দেওয়া নিয়ে বিশৃঙ্খলাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়েছে গণফোরাম কাউন্সিলে। চ্যানেল আই
এই ব্যাপার নিয়ে দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন গণফোরামের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পথিক।
এর পরিপ্রেক্ষিতে দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু অভ্যন্তরীণ ‘দ্বন্দ্বে’ ভাঙনের মুখে গণফোরাম।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির নির্বাচিতদের শপথ নেয়া নিয়ে দুই নেতা ‘দ্বিমুখী’ অবস্থান নিয়েছেন বলেও গুঞ্জন উঠে কাউন্সিলে।
মন্টু বিশেষ কাউন্সিল যোগ না দেওয়ায় শীর্ষ নেতাদের দ্বন্ধের বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়। এ প্রসঙ্গে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ বলেন, মোস্তফা মহসীন মন্টু অসুস্থ। তিনি ভারতে চিকিৎসা নিতে গেছেন।
কিন্তু বিশেষ সূত্রে জানা যায়, তিনি বাসায় আছেন। তবে কেন কাউন্সিলে যোগ দেননি এই নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি মন্টু।
দীর্ঘ ৮ বছর পর গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। মূল মঞ্চের ড. কামালের চেয়ারের কয়েক আসন পরেই মোকাব্বির বসেন। এই নিয়েই নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক পদে অর্থমন্ত্রী প্রয়াত শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়াকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে গণফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মেদ বলেন, ‘কমিটি গঠনে কাউন্সিলে ড. কামাল হোসেনসহ দলের শীর্ষনেতাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা নতুন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেবেন। এখনও কাউকে কোনো পদে বসানো হয়নি।’
মন্টুর অনুসারীদের সূত্রে জানা গেছে, তারা মোস্তফা মহসীন মন্টুর নেতৃত্বে আলাদা দল গঠনের বিষয়ে চিন্তা করছেন। খুব শিগগিরই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন।
২০১১ সাল থেকে মোস্তফা মহসীন মন্টু সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত বছরের বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের সময় থেকে তিনি সক্রিয় হন।
আপনার মতামত লিখুন :