শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল, ২০১৯, ০৪:৪৪ সকাল
আপডেট : ২৭ এপ্রিল, ২০১৯, ০৪:৪৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফেসবুক শক্তিশালী যোগাযোগ মাধ্যম, সঠিক  ব্যবহার সমাজকে আলোকিত করতে পারে

শফিকুল ইসলাম

ভাবছি ফেসবুকে আর থাকবো না। ভাবতে ভাবতে প্রায় দু’সপ্তাহ কেটে গেলো। সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। এরই মধ্যে কয়েকজন যারা আমাকে চাষি ভাই বলেই ডাকে তারা সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ফেসবুক ছাড়তে পারবেন না। আপনি তো আপনার জীবন ও কর্ম নিয়ে লেখালেখি করেন। এ কর্মকা- নিয়ে পোস্ট দেন। তাতে করে আমাদের উজ্জীবিত করে।

আমার বিষয় অন্য। আমি মনে করি বিষয়ভিত্তিক লেখালেখি ও কর্মকা- নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়া উচিত। যা প্রত্যেকের মনোজগতে পরিবর্তন করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আমার জীবন ও কর্মের ভালো দিকগুলো বিবেচনা করে নিজের জীবনে প্রতিফলিত করতে পারে। তাহলেই শক্তিশালী এ মাধ্যমটির প্রতি সুবিচার করা হবে। দুই-চারজন হয়তো এ মানসিকতা নিয়ে পোস্ট দিয়ে থাকেন। তবে বেশিরভাগ হয়তো সমাজের উচ্চবর্গের না হয় রাজনৈতিক নেতাদের না হয় সেলিব্রিটিদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে পোস্ট দেন, আবার গর্ব করে বলেন, অমুক ভাইয়ের সঙ্গে আমি। এ ধরনের বক্তব্যসহ পোস্ট বিরক্তিকর। আমি সরকারের একজন সাবেক কর্মকর্তা হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, কোনো কোনো মন্ত্রী বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কোনো কর্মসূচিতে থাকলে তাদের সঙ্গে বা পেছনে কেউ কেউ হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে বা কাউকে দিয়ে ছবি তুলে নেয়। যার সঙ্গে ছবি তুললেন তার সঙ্গে কোনো পরিচয় নেই। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দিলো ভাইয়ের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলোচনা শেষে আমি ও ভাই। জানান দিলো গুরুত্বপূর্ণ এ ব্যক্তিটি আমার খুব কাছের। মজার ব্যপার হলো যাদের সঙ্গে সেলফি তুলতে যারা আগ্রহী তাদের চেয়ে বেশি আগ্রহী হয়ে পড়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। তারা মনে করেন ফেসবুকে এ ছবিটা গেলে তার পরিচিতি বাড়বে, প্রচার বাড়বে। কিন্তু তারা কি জানে বা বোঝে এ সেলফিকে পুঁজি করে সে কতো অন্যায় কাজ করে ফেলতে পারে? আবার কেউ কেউ একগাদা ছবি পোস্ট করে থাকে। যা খুবই বিরক্তিকর। কারণ ছবির কোনো শানে নযুল নেই।

আবার অনেক পোস্টের লিংক খুঁজে পাওয়া যায় না। এমনি কিছু নোংরা পোস্ট যুক্ত করে যা সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য। আমি হয়তো ফেসবুকে আছি। আমার অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়ে হয়তো ফেসবুকে কী দেখেছে সেদিকে তাকালো হঠাৎ করে নোংরা পোস্টটি চলে এলো এবার আপনাকে কী বিব্রত পরিস্থিতিতে পড়তে হয় তা কী ভেবে দেখেছেন? ফেসবুক একটি শক্তিশালী যোগাযোগ মাধ্যম। এর সঠিক ব্যবহার সমাজকে আলোকিত করতে পারে। এর অপব্যবহার সমাজকে কলুষিত করতে পারে। আমরা কোনটি বেছে নিবো। সে সিদ্ধান্ত নেয়ার এবং বাস্তবায়নের অধিকার শুধুই আপনার। আমি জানি আমার এ বকবকানি কেউ আমলে নাও নিতে পারেন তাতে আমার কিছু আসে যায় না। বিবেকের তাড়নায় বলে গেলাম। আপনি ভালো থাকুন। সমাজ ও দেশকে ভালো রাখুন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলুন। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়