নুর নাহার : ফেনীর সোনাগাজীতে আগুনে পুড়িয়ে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার ঘটনায় নিজের অপরাধ ঢাকতে হাসপাতালে মুমূর্ষু নুসরাতকে রক্ত দেয় এমরান হোসেন মামুন। সময় টিভি
পিবিআই’র সূত্রে জানা গেছে, একইসঙ্গে আসামি নুর উদ্দিন, আবদুল কাদের এই ঘটনায় নিরপরাধ সাজার চেষ্টা করেছিল। শরীরে কেরোসিন ঢেলে নুসরাতকে আগুন দেওয়ার পর তাকে বাঁচাতে নুর উদ্দিন পানিভর্তি বদনা নিয়ে ছাদে যায়।
আর ঘটনার পরপরই নুসরাতের বাবা-মাকে ফোনে খবর দেয় আসামি আবদুল কাদের। নুসরাত হত্যায় গ্রেফতার অন্য আসামিদের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও পিবিআই’র তদন্তে এসব তথ্য বের হয়ে আসে।
নুসরাত হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এমরান হোসেন মামুন। সে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার কারামুক্তি দাবি আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা। ৭ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মুমূর্ষু নুসরাতকে রক্ত দেয় সে।
তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই পরিদর্শক মো. শাহ আলম বলেন, ‘ মামুন আগুন দেওয়ার ঘটনাকে নাটক সাজাতে চেয়েছিল। আসামি নুর উদ্দিন এবং কাদেরও অপরাধ ঢাকতে সাধু সাজার চেষ্টা করেছিল।’ নুসরাত হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :