শিমুল মাহমুদ ও কামরুল হাসান : দীর্ঘ ৮ বছর পর বিশেষ কাউন্সিলে বসেন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম। দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে শপথ নেওয়ায় আমন্ত্রণ পাননি গণফোরাম দুই নির্বাচিত নেতা সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান। তবে সকালে রাজধানীর গুলিস্তান মহানগর নাট্যমঞ্চে অনুষ্ঠিত দলটির কাউন্সিলে অংশ নেন মোকাব্বির। মঞ্চে ড. কামাল হোসেনের তিন আসন পর বসেন তিনি।
এ সময় মঞ্চে বসা নিয়ে দলের কাউন্সিলরদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। দল ছাড়েন প্রশিক্ষণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক। নেতাকর্মীরাও মোকাব্বির খানের উদ্দেশে বলেন, তুই ওখানে বসে আছিস কেন? তোর তো ওখানে বসার জায়গা নয়। এ সময় ড.কামালের ওপরও ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলটির কেউ কেউ।
সভাপতিত্বের বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, ক্ষমতার উৎস হলো জনগণ, সুতরাং আপনাদের দেখতে হবে, যারা ক্ষমতায় তারা কি দেশের স্বার্থে নাকি নিজের স্বার্থে কাজ করছেন। নাকি অন্য কিছু করছেন। উল্টো কিছু করলে সংগঠিত হয়ে তাদের থামাতে হবে। কারণ, জনগণ গণতন্ত্রের পাহারাদার। আর এই নাগরিকরা যদি দায়িত্ব পালন না করেন তাহলে গণতন্ত্র স্বৈরতন্ত্রে পরিণত হয়।
সভা থেকে বের হওয়ার পর রফিকুল ইসলাম পথিক বলেন, দলের সকল কর্মকা-ে সব সময় সম্পৃক্ত ছিলাম। মোকাব্বির খান যখন শপথ নিতে যান তখন দলে দুই ধরনের মত ছিল। পরে বলা হয়েছে কার্যনির্বাহী সভায় যা সিদ্ধান্ত হবে তাই সভায় মেনে নিবে। কিন্ত ২০ তারিখের কার্যনির্বাহী সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে মোকব্বির খানকে শোকজ করা হবে, আজকে ২৬ তারিখ এখনও শোকজ করা হয়নি।
তিনি বলেন, মোকাব্বির খান ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে গেলে বলে গেট আউট, আর বাসায় গেলে বলে সংসদে যাও। এ ধরণের দৈথ নীতির যে আচরণ এই দলে আমি থাকবো না। এই আচরণে আমি ব্যথিত। এই দল আর আমি করবো না।
আপনার মতামত লিখুন :