নুর নাহার: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বাদে জাহিদুর রহমানের এমপি হিসেবে শপথ নেয়াকে ভালো চোখে দেখছেন না অন্য রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কেউ বলছেন এটি সংসদীয় রাজনীতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা আবার কেউ বলছেন লোভে পড়ে এই শপথ। যমুনা টিভি
প্রথমে গণফোরামের সুলতান মনসুর পরে মুকাব্বির খান আর এবার বিএনপি জাহিদুর রহমান। এভাবে একে একে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যানকারী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির জনপ্রতিনিধির। সংসদে আসার ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে শাসক দল আওয়ামী লীগ। নেতাদের অভিমত এতে গণতন্ত্র সুসংহত হবে।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, যারা শপথ নিচ্ছেন তাদেরকে ধন্যবাদ ও স্বাগত জানাই। তারা এই শপথের মধ্যে দিয়েই ইতিবাচক রাজনীতিতে আসবেন। বাকি যারা শপথ নেননি তারাও শপথ নিয়ে সংসদে আসবেন আশা করছি।
জাপা কো- চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, তারা নির্বাচন করেছেন, তারা সংসদে আসছেন এটি সকলের জন্য ভালো ।তবে সরকার পক্ষের এমন মূল্যায়ণে একমত নন বাম রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, এটি রাজনৈতিক বিশ্বাসঘাতকতা এবং দলীয় রীতিনীতি, সংসদীয় ঐতিহ্য ও প্রথা বহির্ভূত। সেই জায়গাকে উপেক্ষা করে তারা শপথ গ্রহণ করে দলের সাথে বেঈমানী করেছেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক বলেন, ব্যক্তিগত হিসাব নিকাশ, লাফালাফির জায়গা থেকে রাজনৈতিকভাবে একটি হতাশা সৃষ্টি করে। আজ যে দল করছেন এ দল যেমন তাদের প্রতি আস্থা রাখতে পারবে না, ভবিষতে যে দল করুন না কেন কোনো দল তাদের ওপর আস্থা রাখতে সক্ষম হবে না।
শেষ পর্যন্ত মির্জা ফখরুলসহ বাকি যে ৫ জন সদস্য রয়েছেন তারাও শপথ নেন কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখছেন সবাই।
আপনার মতামত লিখুন :