রাশিদ রিয়াজ : ইরান থেকে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ভারত সহ যে আটটি দেশের তেল আমদানিতে ছাড়ের সুযোগ যুক্তরাষ্ট্র তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে প্রেক্ষাপটে বাড়তি তেলের উৎপাদন করতে সৌদি আরব অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ইতিমধ্যে রাশিয়া তেল উত্তোলন বৃদ্ধি না করার ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে ইরানের তেল আমদানি করতে সুযোগ না পেলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম চড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং দাম চড়তেও শুরু করেছে। তেলের সরবরাহ আন্তর্জাতিক বাজারে পড়তে শুরু করলেই এর দাম বাড়তে শুরু করবে। এই অবস্থায় আশা ছিল সৌদি আরব হয়তো তেলে উত্তোলন বাড়াবে। কিন্তু সৌদি তেল মন্ত্রী খালিদ আল-ফলিহ্ জানিয়েছেন, ইরান ও ভেনেজুয়েলায় নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিশ্বে তেলের মজুত ভা-ার বাড়ছে। ফলে এখনও কোনও কিছু করার প্রয়োজন নেই। তবে তাদের ক্রেতাদের অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে দেওয়া হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন ফলিহ্।
কিন্তু সৌদি আরব এখন তেলের মজুদ বাড়াতে গেলে ওপেকে এর বিরোধিতা করবে অন্য তেল রফতানি সদস্যগুলো। ফলে বনিবনা না হলে ওপেকের অস্তিত্বেই টান পড়তে পারে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে ‘আগ্রাসী পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী। তার বক্তব্য হচ্ছে , ‘আমরা যতটা প্রয়োজন মনে করব, ততটাই তেল রফতানি করব।’ রাশিয়ারও দাবি, ওই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী ও বেপরোয়া মনোভাবের পরিচায়ক।
ইরানের তেল রপ্তানি বন্ধে মার্কিন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সৌদি আরব ও বাহরাইন। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি বলেছেন, তেহরানের ওপর আরোপিত তেল নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে রিয়াদ এবং মানামার অবস্থান প্রমাণ করে তারা মার্কিন নীতির কাছে অন্ধভাবে নতিস্বীকার করেছে এবং এই ধরনের কর্মকা-ের জন্য সৃষ্ট পরিণতির বিষয়েও তারা অজ্ঞ। প্রেসটিভি
আপনার মতামত লিখুন :