ফাতেমা ইসলাম : বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ২০১৩ সালে যার বেতন ৫ হাজার টাকা ছিলো তার বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট যে হারে হয়েছে সেটা যদি করা হয় তাহলে এবার যে ৮ হাজার করা হলো তার চেয়ে বেশি হয়। তাদের ব্যাপারে যদি স্বাভাবিক ইনক্রিমেন্টটা হতো তাহলে বর্তমান যে মজুরি পায় তার থেকে বেশি পেতো। এখানে শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির যে কথা হয়েছিলো সেটা তো হয়নি বরং মজুরি কম হয়েছে। এনটিভি
তিনি বলেন, সরকার বলেছে আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়ে ১৯০৯ ডলার হয়েছে। এ হিসাবে ৫ সদস্যের একটি পরিবারের মাসিক আয় হওয়ার কথা ৬৬ হাজার টাকা। কোন গার্মেন্ট শ্রমিকের যদি স্বামী-স্ত্রী দু’জনই কর্মক্ষম হয় তো তারা চাকরি করে কি ৬৬ হাজার টাকা আয় করতে পারে? কর্মক্ষম মানুষই যদি এভারেজের নিচে চলে যায় তখন বৃদ্ধ ও শিশুরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।
তিনি আরো বলেন, গার্মেন্ট মালিকরা সরকারের কাছ থেকে যে সহযোগিতা পেয়েছে শ্রমিকরা কি সে সহযোগিতা পেয়েছে, পায়নি। এখানেও বৈষম্য, মজুরির ক্ষেত্রেও বৈষম্য। যদি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা রেশন পায় তহলে আমাদের শ্রমিকরা কেনো রেশন পাবেনা। তাদের জন্য নাকি ওএমএস’র ব্যবস্থা করা হয়েছে, তো তারা কি কারখানায় যাবে নাকি চাউল কেনার জন্য লাইনে দাঁড়াবে।
আপনার মতামত লিখুন :