ফাতেমা ইসলাম : ১৩২ বছর পূর্ণ করলো চট্টগ্রাম বন্দর। কিন্তু এখনও অনেক সমস্যায় জর্জরিত এ বন্দর, মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের। তারা বলছেন, নানা ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়লেও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে পাল্লা দিতে পারছে না এটি। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় থমকে আছে অনেক উন্নয়ন প্রকল্প। -ইন্ডেপেন্ডেন্ট টিভি

খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে কর্ণফুলীর মোহনায় গড়ে ওঠা পোতাশ্রয়, চর্তুদশ শতকে বন্দরে রুপ নেয়। সেসময় এই বন্দরের নাম ছিলো পোর্টো গ্রান্ডো। হাল আমলের চট্টগ্রাম বন্দরের শুরুটাও সেই থেকেই। তবে বর্তমান কাঠামোয় বন্দরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ১৮৮৮ সালের ২৫ এপ্রিল।
এটিই এখন দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর। দেশের আমদানি-রপ্তানির ৯২ ভাগ পরিচালিত হয় এই বন্দর দিয়ে। সময়ের সাথে বেড়েছে বন্দরের পরিধি, যোগ হয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় স্বল্প-মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি প্রকল্প নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

নানা কারণে অনেক প্রকল্পের কাজে দেরি হচ্ছে। ২০২৫ সালে বে-টার্মিনাল শুরুর কথা থাকলেও এখনও ভূমি অধিগ্রহণই শেষ হয়নি। এ বছরের মধ্যে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা, কিন্তু কাজ হয়েছে মাত্র ১৮ ভাগ। আর বেশ কয়েকদফা পিছিয়ে শুরু হওয়া কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে ৪০ ভাগ। সব সংকট সমাধান করে কনটেইনার ব্যবস্থাপনায় এই অঞ্চলের ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু হতে চায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।