শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল, ২০১৯, ০৪:০৮ সকাল
আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০১৯, ০৪:০৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কনস্টেবল পলি বাঁচতে চান

নিউজ ডেস্ক : যেদিন ওর চাকরি হলো, বাবাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে অনেক্ষণ কেঁদেছিলো। বলেছিল, তোমার কষ্টের দিন শেষ বাবা। এখন আমিই টানবো সংসারের হাল। তোমাকে আর মানুষের ক্ষেতে কাজ করতে হবে না।

কথাগুলো বলছিলেন ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত সিএমপি’র কনেস্টেবল পলি আক্তারের বড় ভাই মো. আরিফ। তিনি বলেন, আমার আদরের বোনটি এখন মৃত্যু শয্যায়। ও বাঁচতে চায়।

পড়াশোনার গণ্ডি পার হওয়ার আগেই সংসারের দায়িত্ব কাঁধে নেন পলি। ২০১২ সালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে কনেস্টবল পদে যোগ দেন তিনি। অসুখের কারণে সংসারও করা হয়নি এ মানুষটির।

আরিফ বলেন, ২০১৫ সালে প্রথম মেরুদণ্ডের উপরে ঘাড়ের ঠিক মাঝখানে ব্রেইনের কাছাকাছি টিউমার ধরা পড়ে পলির। তখন পিজি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তিন বছর সুস্থ ছিলো। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আবারো অসুস্থ হলে ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসা নেয় পলি। এরপর রাজধানীর আগারগাওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সে দ্বিতীয়বার অপারেশন হয়। কিন্তু অর্থের অভাবে পলিকে সেখানে রাখা যায়নি। ৪ এপ্রিল থেকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আমার বোনটি।

চার ভাইবোনের মধ্যে মেঝ পলির চিকিৎসা করতে গিয়ে সব কিছু বিক্রি করে দিয়েছেন আরিফ। তিনি বলেন, সংসার চালানোর একমাত্র সম্বল দোকানটিও বিক্রি করেছি। কিন্তু কোনোভাবেই পারছি না। পলিকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা করতে আবারো ভারতে যেতে হবে। সেজন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। কিন্তু বিক্রি করার মতো আমার আর কিছু বাকি নেই।

আরিফ আরো বলেন, পলির চিকিৎসায় সিএমপি থেকে আড়াই লাখ টাকা দিয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকেও দেড় লাখ টাকা দিয়েছে। সিএমপি কমিশনার মাহবুবুর রহমান আরো তিন লাখ টাকা দেয়ার কথা দিয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য পলিকে ভারতে নিতেও সহায়তা করবেন বলে কথা দিয়েছেন।

কনস্টেবল পলিকে বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান ভাই আরিফ। তিনি বলেন, আমার বোন বাঁচতে চায়। আপনাদের সাহায্যই পারে তাকে সুস্থ করে তুলতে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়