শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল, ২০১৯, ০১:১৪ রাত
আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০১৯, ০১:১৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বোমা হামলার মূলহোতা কে এই হাশেম?

নিউজ ডেস্ক : শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের প্রার্থনার সময় ৭টি স্থানে একইসঙ্গে ৩টি গির্জা ও ৪টি স্বনামধন্য হোটেলে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলার মূলহোতা জাহরান হাশেমের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের অনেক অভিযোগ করে আসছিলেন লংকান মুসলমানরা। তারা দাবি করে আসছিলো দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী হামলার মূল ভূমিকা ছিল হাশেম নামে ওই ব্যক্তির।

রবিবার (২১ এপ্রিল) কলম্বোর বাইরে চল্লিশ বছর বয়সী মোহাম্মাদ জাহরান ও হাশেম একজন বেশ নামকরা সন্ত্রাসী হিসেবেই বেশ পরিচিত ছিল।

জানা গেছে, হাশেম নামে ওই ব্যক্তি একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। মুসলমান পরিবারে জন্ম নিয়েছেন তিনি। দেশটির মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাট্টানকুডিতে একটি মাদ্রাসায় তিনি পড়াশুনা শুরু করলেও পরবর্তীতে ঝড়ে পড়েন। পড়াশুনা শেষ করতে পারেননি।

স্থানীয় মুসলমানরা তাকে আপদ হিসেবেই জানতেন। স্থানীয় মসজিদে নানা সমস্যার মূল কারণ ছিলেন এই ধর্মীয় নেতা। সাধারণ মুসল্লিদের সঙ্গে তার বিতর্ক লেগেই থাকত। একদিন এক মুসল্লিকে হত্যা করতে তলোয়ার উঁচিয়ে তেড়ে গিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে কাট্টানকুডিতে জাতীয় তাওহিদ জামাত গঠন করেন তিনি।

এদিকে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রকাশ করা এক ভিডিওতে হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এতে হাশেমের সেই পরিচিত উগ্রমুখটি দেখা গেছে। হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫৯ জন নিহত হয়েছেন।

ফুটেজে আইএস নেতা আবুবকর আল বাগদাদির আনুগত্য প্রকাশ করে আটজনকে শপথ নিতে দেখা গেছে। যাদের মধ্যে কেবল হাশেমের গোলাকার মুখটিই খোলা ছিল। বাকিরা মুখ ঢেকে আনুগত্যের শপথ নেন।

মাথা কালো কাপড়ে ঢাকা রাইফেল বহনকারী হাশেম অন্যদের শপথবাক্য পাঠ করান। বাকিরাও তার মতো কালো পোশাক পরলেও তাদের মুখমণ্ডল ছিল সম্পূর্ণ ঢাকা।

শ্রীলংকার সরকার ইতিমধ্যে হামলার জন্য পরোক্ষভাবে হাশেমকে দায়ী করেছে। স্বল্প পরিচিত ইসলামপন্থী সংগঠন জাতীয় তাওহিদ জামায়াতকে হামলার জন্য প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করেছে।

এদিকে অনেক সময় পেরিয়ে অবশেষে হাশেমকে শনাক্ত করতে পেরেছে গোয়েন্দা সংস্থ। তার নাম ভুলভাবে হাশমি বলে উচ্চারণ করা হয়েছে। তবে হামলার আগে ভার্চুয়াল জগতে তিনি তেমন কোনো পরিচিত মুখ ছিলেন না। এমনকি শ্রীলংকার ভেতরেও তার পরিচিত ছিল সামান্য।

ইউটিউব ও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার কয়েক হাজার ফলোয়ার রয়েছে। এতে তিনি উত্তেজনাপূর্ণ ওয়াজ-নসিহত আপ করেন।

একটি ওয়াজে দেখা গেছে, অমুসলিমদের বিরুদ্ধে ভর্ৎসনাপূর্ণ ওয়াজ করছেন তিনি। তার পেছনে একটি ফটোশপে তৈরি করা আগুনের পতাকা।

শ্রীলংকার মুসলিম কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিলমি আহামেদ বলেন, তিন বছর আগেই হাশেম সম্পর্কে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিলেন তিনি।

হাশেম কোরআন ক্লাসের অজুহাতে তরুণদের উগ্রপন্থার দীক্ষা দিচ্ছিলেন জানিয়ে হিলমি বলেন, কিন্তু তিনি এতবড় হামলা চালাতে সক্ষম হবেন বলে কেউ ভাবেননি। মোহাম্মদ জাহরান ও মৌলভী হাশেম নামে পরিচিত ছিলেন ৪০ বছর বয়সী ওই ধর্মীয় নেতা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়