সিরাজুল ইসলাম : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রাম ঘোষপাড়ায় সংখ্যালঘু হারু দাসের (৬০) বসতবাড়ি দখলে নিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীদের মারপিটে গৃহকর্তা ও তার পুত্রবধূ সেতু দাস (২৩) মারাত্মক আহত হয়েছে। সেই সঙ্গে আসবাবপত্র ভাংচুর করে ৭ ভরি স্বর্নালংকার লুট করা হয়েছে বলে ওই পরিবারের লোকজন জানান। আহতদের ঢাকাস্থ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আব্দুল মালেক, মন্জুর, মিলন ও দেলুসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে।
বুধবার সরেজমিনে কথা হয় হারু দাসের মেয়ে লিপি দাাসের সঙ্গে। তিনি জানান, বংশ পরম্পরায় ৭০/৮০ বছর ধরে চারিগ্রাম বাজার সংলগ্ন ৩ শতাংশ জমিতে আমরা বসবাস করে আসছি। আমাদের বাড়ির জমির মালিকানা দাবি করে স্থানীয় পলি, আব্দুল হক গং আদালতে মামলা দিলে রায় আমাদের পক্ষে আসে। পরবর্তীতে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করে, যা বর্তমানে বিচারাধীন। তিনি আরো জানান, এ অবস্থায় পার্শ্ববর্তী বায়রা ইউনিয়নের বাইমাইল গ্রামের নুরু মিয়ার পুত্র আব্দুল মালেক (৪৫) প্রতি পক্ষের কাছ থেকে ১ শতাংশ জমি ক্রয করেছে বলে প্রচার চালিয়ে বিভিন্ন সময়ে আমাদের উচ্ছেদের চেষ্টা করে।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে মালেক ১৫/২০ জনের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালিয়ে মারপিট, ভাংচুর ও স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে যায়। হারু দাসের পুত্র বিশ্বনাথ দাস বলেন, সন্ত্রসীদের ভয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে আতঙ্কে আছি। মালেক ও তার লোকজন আমাদের প্রাণনাশসহ বাড়ি-ঘর জালিয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যাান সাজেদুল আলম স্বাধীন বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে সংখ্যালঘু পরিবারের বসতবাড়িতে হামলা ও জবর দখল অন্যায়। অভিযুক্ত মালেকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ওসি (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এটা জমি সংক্রান্ত বিরোধ। হামলা , মারপিট ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :