স্পোর্টস ডেস্ক: গত বছরে বল টেম্পারিংয়ের দায়ে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথ ও ডেবিড ওয়ার্নারের এক বছরের জন্য ক্রিকেট খেলা থেকে নির্বাসিত হন। তারপর থেকে ২০১৮ সালটা খুবই খারাপ কেটেছে অজিদের। তবে একের পর এক হারে বিপর্যস্ত হওয়ার পর নতুন বছরে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। সম্প্রতি ২-০তে পিছিয়ে থেকেও ভারতের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জিতে নেয় দলটি। সেইসঙ্গে ভারতের মাটিতে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও ২-০তে পকেটে ভরে হলুদ বাহিনী। ভারতের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানকে ৫-০তে হোয়াইটওয়াশ করে।
টানা আট ওয়ানডে ম্যাচে জয় এবং স্মিথ ও ওয়ার্নার নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফেরায় ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট দল এখন অস্ট্রেলিয়া। এই দিকগুলো বিশ্বকাপের আগে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্কোয়াডের অন্যতম সদস্য মার্কাস স্টয়নিস। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলা অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘আমার মনে হয় সবাই এখন খুব আত্মবিশ্বাসী। দেশের বাইরে আট ম্যাচ জয় আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের খুবই প্রয়োজন ছিল। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের উপর বিশ্বাস রাখছে এবং আমার একটা দল হয়ে পারফরম করছি।’
অস্ট্রেলিয়ার ঘুরে দাঁড়ানোটাকে অনেকে আকস্মিক বললেও তেমন মানতে নারাজ স্টয়নিস। তার মতে, এটা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া ছিল, ‘বাইরে থেকে এটা আকস্মিক মনে হতে পারে, তবে এটা ছিল ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এমনকি আমরা যখন হেরেছি, তখনও অনেক শিখেছি। হারের শেষদিকে প্রায় প্রতিটি ম্যাচ ক্লোজ লড়াই করেছি।’
দল জয়ের ধারায় ফেরার সঙ্গে ১২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে স্মিথ-ওয়ার্নারকে পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত স্টয়নিস। দুজনই আইপিএল ভালো খেলছেন। স্মিথ একটু ধীর হলেও ব্যাটে রীতিমতো আগুন ঝরাচ্ছেন ওয়ার্নার। ১০ ইনিংসে সাত হাফসেঞ্চুরি ও এক সেঞ্চুরিতে এরইমধ্যে করে ফেলেছেন ৫৭৪ রান। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের এ মারকুটে ব্যাটসম্যান চলতি আসরে আইপিএলের টপ স্কোরারও। দলের দুই সেরা তারকা ফিরে আসায় অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার বলেও মনে করছেন স্টয়নিস।
১ জুন ব্রিস্টলে আফগানিস্তান ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।
আপনার মতামত লিখুন :