ড. আসিফ নজরুল
উপন্যাস লেখা তাও পারি। কিন্তু নাম কী দেবো এটা ভেবে মাথা খারাপ হয়ে যায়। ২৬ বছর আগে আমার প্রথম উপন্যাসের নাম দিয়েছিলাম ‘নিষিদ্ধ কয়েকজন’। শুনে আমার বন্ধুদের কেউ কেউ হেসে মরে যায় পারলে তখন। ২০১৮’র ‘বেকার দিনের প্রেম’ উপন্যাসটির প্রস্তাবিত নাম ছিলো ‘ইন্টারভিউ’। প্রকাশক এতো অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালেন যে, তাড়াতাড়ি বললাম আচ্ছা চেঞ্জ করছি। এবার ঈদ সংখ্যার জন্য উপন্য্যাস লিখেছি প্রথম আলোতে। এ সময়কার একজন তরুণ সাংবাদিকের জীবনের নানা বিস্ময় নিয়ে। গল্পকার পারভেজ ভাই আছেন দায়িত্বে। বললাম উপন্যাসটার নাম ‘বিশেষ সংবাদ’ হলে কেমন হয়। তিনি ভদ্র মানুষ। যা বললেন তার আসল মানে হচ্ছে খুব খারাপ হয়। আমার স্ত্রী আমার উপন্যাসের প্রথম পাঠক।
তাকে অনেক অনুরোধ করলাম, প্লিজ একটা নাম দাও। সে নাম দেয়। আমি হাসি। আমি একটা নাম বলি। সে দ্বিগুণ হাসে। শেষে বলে, আরে যা একটা দিয়ে দাও। নাম কেউ দেখে নাকি? কী বলো! ড্যাডি তো যা মনে আসতো দিয়ে দিতো। দিয়ে দাও। মনে মনে বলি, আমি তো তোমার বাবার মতো এতো বড় লেখক নই। যা খুশি নাম দিলে লেখাই ছাপাবে না। নামটা অমীমাংসিত থাকলো। লেখা পাঠালাম দিলাম দু’দিন আগে। এখন লিখবো একটা গল্প ‘বাংলাদেশ প্রতিদিনে’র জন্য। নিজেকে রাজা বাদশার মতো মনে হয় লেখার ফরমায়েশ পেলে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :