হাসান বিন বাংলা
জিয়াউর রহমানের নাগরিকত্ব বিষয়ক প্রসঙ্গটি স্বচ্ছ নয়। কেননা, জিয়াউর রহমানের পিতা মনসুর রহমান মোহাজের (আশ্রিত) ছিলেন পাকিস্তানের করাচিতে। জিয়াউর রহমানের বেড়ে উঠা সেই পাকিস্তানেই। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে জিয়াউর রহমানের অংশগ্রহণ পূর্ব পাকিস্তানের কোটায় নয় বরং পশ্চিম পাকিস্তানের কোটায়। প্রশ্ন হলো জিয়াউর রহমানের পিতা যদি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নাগরিক/ভোটার না হয়ে থাকে, জিয়াউর রহমান কেমন করে বাংলাদেশের নাগরিক হয়? আমাদের বিদ্যমান নাগরিকত্ব আইন থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদরাও এখনো বিষয়টি খোলাসা করেননি।
এবার আসি তারেক জিয়ার প্রশ্নে... তারেক জিয়া মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন যে, তিনি আর রাজনীতি করবেন না। যদি ধরেই নেয়া হয় যে, তারেক রহমান দেশ ছাড়ার সময় বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়েই গিয়েছিলেন, কিন্তু তারও একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ ছিলো। সেই মেয়াদ অতিক্রান্ত হওয়ার পর তিনি পাসপোর্ট নবায়ন করেছেন বলেও শোনা যায়নি। সেই হিসাবে তিনি ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন এবং রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে হলেও তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট বিসর্জন দিয়েই তার আবেদন করতে হয়, এটাই স্বীকৃত নিয়ম। সেক্ষেত্রে তারেক রহমান বর্তমানে বাংলাদেশের নাগরিক নন, এই বিষয়টি জলের মতোই স্বচ্ছ। তাহলে পরিপূরক সওয়াল এসে যায় যে, তারেক কেমন করে বিএনপির অস্থায়ী চেয়ারপারসনের দায়িত্ব নিলো? একজন বিদেশি নাগরিক কী বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনানুসারে কোনো রাজনৈতিক দলের পদ -পদবি লাভ করতে পারে? উত্তর হলো, ‘নো এবং বিগ নো’... সুতরাং বিএনপিকে অচিরেই তারেক জিয়াকে বিসর্জন দিয়ে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করতে হবে। নতুবা বিদ্যমান আইনে দলটির নিবন্ধন যেকোনো সময় হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :