জাবের হোসেন : ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল। সাভারে ধসে পড়েছিল ৯তলা ভবন রানা প্লাজা। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ছয় বছর আজ। ঘটনার অর্ধযুগ পরেও, সেই দিনের ভয়ঙ্কর স্মৃতি তাড়া করে ফেরে, প্রাণে বেঁচে যাওয়া শ্রমিকদের। এখনও সবাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেনি। ছয় বছর পার হলেও এ ঘটনায় হতাহত শ্রমিক ও তার স্বজনেরা সুবিচার পায়নি। একুশে টিভি
অনেকে পায়নি সঠিক চিকিৎসা, এখনও বেকার অনেকে। আবার এক মাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির অকাল মৃত্যুতে পরিবারের চলার পথ নেই। প্রকৃত ক্ষতি পূরণা বলতে যা বোঝায় তা পায়নি, বেশীরভাগ ক্ষতিগ্রস্তরা। ভবন মালিকসহ জড়িতদের সঠিক বিচার চান তারা।
সরকারী হিসেবে ১১শ ৩৮ জন বেসরকারী হিসেবে ১১শ ৭৪ জন নিহত হয় ওই ঘটনায়। ২১ দিন ধরে উদ্ধার অভিযান চলে। শনাক্ত করা যায়নি অনেকের লাশ, তাদের ঠিকানা হয় জুরাইন কবরস্থানে। ঐদিনের দুর্বিসহ স্মৃতি থেকে জীবনকে আলাদা করার আসলে আর সুযোগ নেই। কিন্তু ঘটনা পরবর্তী রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধাগুলো যথাযথ ব্যবহার হয়নি। তবে ঘটনার পর পোশাক শিল্পখাতে কর্মপরিবেশ উন্নয়নসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসাও করেছেন বিশ্লেষকরা।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বলছে, দুর্ঘটনা পরবর্তীতে ক্ষতিপূরণ একসঙ্গে না দেয়ায় এসব শ্রমিকের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়নি। প্রায় ৫১ শতাংশ শ্রমিক এখনও বেকার। এ ছাড়া ক্ষতিপূরণ নির্ধারণে গড়া হাইকোর্ট বেঞ্চ ভেঙে যাওয়ায় যথাযথ ক্ষতিপূরণ পেতে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে হতাহত ও তাদের স্বজনেরা। তবে ওই দুর্ঘটনার পর ছয় বছরে সংশ্লিষ্টদের সমন্বিত উদ্যোগে কারখানা নিরাপত্তা, তদারকি, শ্রমিকের মজুরি, সরকারি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার অগ্রগতি হয়েছে।
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষে আজ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে কবর জিয়ারত, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা।
আপনার মতামত লিখুন :