শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ০৪:১৬ সকাল
আপডেট : ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ০৪:১৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হিন্দু নেতার ফাঁসির জন্য ভোট দিলো আফরাজুলের পরিবার

নিউজ ডেস্ক : “যে জেতে জিতুক, কিন্তু আমার বাবার হত্যাকারীকে যারা সমর্থন করেছিল, তারা যেন হেরে যায়।” মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে ফিরে এই কথাই বলছেন রাজস্থানে খুন হওয়া বাংলার ভাসমান শ্রমিক মোহাম্মদ আফরাজুলের মেয়ে রেজিনা খাতুন। তার পাশে বসে তখন চোখের পানি মুছছেন আফরাজুলের স্ত্রী গুলবাহার বিবি, বড় মেয়ে জোশানারা বিবি, ছোট মেয়ে হাবিবা খাতুন। ১০ম শ্রেণির ছাত্রী হাবিবার অবশ্য ভোটাধিকার নেই।

মঙ্গলবার তৃতীয় দফার ভোটে মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রে কালিয়াচক থানার অন্তর্গত সৈয়দপুর গ্রামে বুথের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন আফরাজুলের স্ত্রী-মেয়েরা। ভোট প্রদান করার পরই বিড়ি বাঁধতে বেরিয়ে যান গুলবাহার। পরে বাড়িতে পাওয়া গেল ছোট মেয়ে হাবিবা আর মেজ মেয়ে রেজিনাকে। রেজিনার কথায়, “আমরা গরিব মানুষ। কোনো দিনই রাজনীতি করিনি। এমনও হয়েছে, ভোটের দিন বুথে যাওয়া হয়নি। কিন্তু এবার খুব সচেতনভাবেই সকাল সকাল গিয়ে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছি। কারণ, এই ভোটটা আমার বাবার জন্য দেয়া জরুরি। কে জিতবে, কে হারবে আমরা জানি না। কিন্তু আমার বাবার হত্যাকারীকে যারা সমর্থন করেছিল, তারা যেন কোনোভাবেই না জেতে।”

২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের তারিখেই রাজস্থানে খুন করা হয় আফরাজুলকে। রাজসমন্দের বাসিন্দা শম্ভুলাল রেগর আফরাজুলকে প্রথমে বেধড়ক মারধর করে, তারপর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। একটু একটু করে আফরাজুলের পুড়ে মরার দৃশ্যটির ভিডিও করা হয়। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। পুলিশ শম্ভুলালকে গ্রেফতার করলেও সে জানায়, তার কোনো অনুতাপ নেই। নিজের কাজের জন্য সে গর্বিত, এবং স্থানীয় কোনো মেয়েকে ‘লাভ জেহাদের’ কবল থেকে বাঁচানোর জন্যই এমন কাজ করেছে সে।

বিভিন্ন মহলে ধিক্কার উঠলেও কট্টর হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠন শম্ভুলালকে কার্যত নায়কের মর্যাদা দিয়েছিল। তার হয়ে মামলা লড়ার জন্য তহবিলও সংগ্রহ করা হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে উত্তর প্রদেশ নবনির্মাণ সেনা নামক এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের পক্ষ থেকে ওই ব্যক্তির নাম আগ্রা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে প্রচার করা হয়, যদিও শেষ পর্যন্ত শম্ভুলাল প্রার্থী হয়নি।

এদিন আফরাজুলের ছোট মেয়ে হাবিবা বলেন, “আমাদের সংসারটা ভেসে গেছে। মা বিড়ি বেঁধে যে ক’টা টাকা পায়, তা দিয়েই কোনোমতে সংসার চলে। মেজ আপা একটা ৬,০০০ টাকার পার্ট টাইম চাকরি পেয়েছে। কিন্তু ওর-ও তো সংসার আছে।” দশম শ্রেণির পড়ুয়া হাবিবার কথায়, “আর কিচ্ছু চাই না, শুধু ওই লোকটার ফাঁসি চাই। ও ফাঁসিতে মরুক, আমরা দেখব। এই ভোটে এমন সরকার আসুক, যারা ওকে ফাঁসি দেবে।” ইনডিয়ান এক্সপ্রেস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়