মাহফুজুর রহমান
১. ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই বিএনপির ছয় সংসদ সদস্যের শপথ নেওয়ার শেষ সময়। গণফোরামের মার্কা নিয়ে একজন ও বিএনপির মার্কা (গণফোরাম নেতা) নিয়ে দুই এমপি ফ্লোর ক্রসিংয়ের অপবাদ মাথায় নিয়েও শপথ (তবে দল এখনো তাদের বহিষ্কার করেনি, করলে কী হবে কে জানে?) নিয়েছেন যা সাংবিধানিকভাবেই অবৈধ। বিএনপির যে কয়েকজন সদস্য আছেন তারা এখন ত্রিমুখী চাপে ও সরকারি লোভে আছেন।
২. বাজারে এতোদিন গুঞ্জন ছিলো বিএনপির সদস্যদের শপথের বিনিময়ে বেগম জিয়ার মুক্তি হবে, সরকারের অতিউৎসাহীরা এখানে একটি ক্লাউজ (শর্ত) লাগিয়ে দিয়েছেন আর বিএনপি চাইছে শর্তহীনভাবে জামিন নিয়ে বেগম জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে হবে, সরকার কোনো বাধা দেবে না।
৩. নানা পর্যবেক্ষণে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, বিএনপির শপথ না নেয়া সদস্যরা দলীয় হাইকমান্ডের আদেশের বাইরে যাবে না। কারণ দলীয় হাইকমান্ড ইতোমধ্যেই তাদের বহিষ্কারের বার্তা দিয়েছে যদি তারা নির্দেশ ভঙ্গ করে।
৪. আওয়ামী সরকার এবারই বড় ঝুঁকির মধ্যে আছে। দলীয় নির্দেশ অমান্য করে তারা শপথ নিলে দল থেকে বহিষ্কার হবে সংশ্লিষ্ট আসন শূন্য হবে। সারাবিশ্বের কাছে আওয়ামী সরকার ভ্যালুলেস হবে। আর বেগম জিয়াকে জামিনে মুক্তি (সদস্যদের শপথের বিনিময়ে) দিয়ে বিদেশ পাঠালেও বড় সমস্যায় থাকবে। কারণ তিনি দলকে তখন পুনর্গঠিত করতে পারবেন। নানা কারণে সরকারের প্রক্সি দল জাপাও কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি যে, সরকারের পাশে দাঁড়াবে।
৫. এদিকে বিদেশ থেকে ঋণ এনে খুব ঠুনকো উন্নয়নের নিউজও পত্রিকায় আসছে, যা ক্ষমতা হারালে গলার কাঁটা হবে।
৬. এদিকে ড. কামাল হোসেন নিজের ৮৩তম জন্মদিনের কেক কাটা অনুষ্ঠানে সরকারের বিদায়ের ঘণ্টা স্বাধীনতার ৫০ বর্ষ পূর্তির আগেই বাজবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সরকারকে সব কিছুকেই আমলে নিয়ে ঠা-া মাথায় এগোতে হবে বলে মানুষ ভাবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :