শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:১০ দুপুর
আপডেট : ২৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:১০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শ্রীলঙ্কার হামলার তিনদিন পর দায় স্বীকার করলো আইএস; হামলার কারণ ক্রাইস্টচার্চ হামলার প্রতিশোধ

আসিফুজ্জামান পৃথিল : শ্রীলঙ্কার ৩ চার্চ এবং ৩টি হোটেলে রোববারের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ৩ দিন পর হামলার দায় স্বীকার করেছে সিরিয়া ও ইরাকভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটস-আইএস। মঙ্গলবার দলটির মুখপত্র বার্তা সংস্থা আল-আমাক এই দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়। ক্রাইস্টচার্চ হামলার পরই গোষ্ঠীটি চার্চে বড় ধরণের হামলার ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলো। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে এই হামলায় মারা গেছেন ৩২৩ জন। আহতের সংখ্যা ৫ শতাধিক। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক পালন করেছে দ্বীপ রাষ্ট্রটি। এদিন প্রথমবারের মতো বেশ কিছু নিহতের অন্তোষ্ট্যিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। নিউইয়র্কটাইমস, এনডিটিভি, ইয়ন, সিএনএন।

বিশেষ বুলেটিনে আমাক জানায়, এইা হামলা ‘আইএস যোদ্ধারা’ চালিয়েছে। তাদের বিবৃতিটিতে প্রকাশ করা হয়েছে মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে। টেলিগ্রাম এনক্রিপ্টেড হওয়ায় এই অ্যাপে দেওয়া মেসেজের উৎস জানা সম্ভব হয়না। এই অ্যাপে আইএস এর একটি নিজস্ব চ্যাটরুম আছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলো খ্রিস্টানরা। তবে তাদের বার্তায় এটি পরিস্কার নয়, হামলাকারিরা সরাসরি আইএসএর সদস্য নাকি মদদপুষ্ট। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই আইএস চার্চে হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়ে আসছিলো। এই ঘটনায় এটি পরিস্কার সিরিয়া এবং ইরাক থেকে বিতারিত হলেও এই জঙ্গী গোষ্ঠীটি সম্পূর্ণভাবে নির্মুল হয়নি।

এর আগে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছিল, শ্রীলংকায় হামলার ধরনের সঙ্গে আইএসের হামলার ধরনের মিল রয়েছে।

মঙ্গলবার সকালেই পার্লামেন্টে দেশটির প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুয়ান বিজেবর্ধনে দাবি করেন, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে গুলি চালানোর ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই শ্রীলংকায় ইস্টার সানডে উদযাপনের সময় একের পর এক বোমা হামলা চালানো হয়। শ্রীলঙ্কান দুটি ইসলামিক গ্রুপ এই হামলার সঙ্গে যুক্ত বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার নিহতদের স্মরণে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করেছে শ্রীলঙ্কা। এদিন নিহতদের একটি অংশের গণ অন্তোষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করে দেশটি। দেশটিতে এ ধরণের হামলা ঠেকাতে এখনও জরুরী অবস্থা বলবৎ রয়েছে। কলোম্বের উত্তরে নেগোম্বোর সেইন্ট সেবেস্টিয়ান চার্চে ৩০ নিহত ব্যক্তির গণ সৎকার অনুষ্ঠিত হয়।

শোক দিবস পালনে দেশটি স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় ১ মিনিট নিরবতা পালন করে। জাতয়ি পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। দেশটিতে আরোপিত জরুরী অবস্থা পুলিশ এবং সেনাবাহিনীকে যে কাউকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের অধিকার দিয়েছে। এ ধরণের ক্ষমতা সর্বশেষ ব্যবহার হয়েছে গৃহযুদ্ধের সময়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়