আসিফুজ্জামান পৃথিল : ২০০২ সালে গুজরাটে সংঘঠিত ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার বিলকিস বানুকে ৫০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দিতে গুজরাট সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। দাঙ্গা চলাকালে বিলকিস বহুবার ধর্ষণের শিকার হয়। তার নবজাতক সন্তানকে তার সামনেই হত্যা করা হয়। হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
প্রাথমিকভাবে গুজরাট সরকার বিলকিসকে মাত্র ৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দিতে চেয়েছিলো। ২০০২ সালে দাঙ্গার সময় বিলকিসের বয়স ছিলো মাত্র ১০। সেসময় সে গর্ভবতী ছিলো।
৩ মার্চ দাহুদের কাছে রাধিকাপুর গ্রামে বিলকিস আর তার পরিবারকে কট্টরপন্থী হিন্দুরা আক্রমণ করে। সেসময় তাকে গণধর্ষণের শিকার হতে হয়। এই ঘটনায় শুধু বিলকিস আর তার দুই পুরুষ আত্মীয় প্রাণে বেচে যায়। তার মা, বোন, শিশুকণ্যা এবং অন্য আত্মীয়দের খুন করা হয়।
এরপরই আহমেদাবাদে এই মামলার বিচার শুরু হয়।
২০১৭ সালে এক রায়ে গুজরাট হাই কোর্ট ৭ জনকে এই ঘটনায় জড়িত বলে দায়ি করে। এদের মধ্যে ৪ জন পুলিশ সদস্য এবং দুই জন চিকিৎসক। এরমধ্যে রয়েছেন আইপিএস অফিসার আরএস ভাগোড়া।
হাইকোর্ট জানায় তার বিরুদ্ধে দাঙ্গায় অংশ নিয়ে খুন এবং ধর্ষণের সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
২০০২ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে এক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়। এই দাঙ্গায় প্রায় ২ হাজার জন মারা যান। যাদের অধিকাংশ মুসলিম। ধর্ষণের শিকার হন বিপুল সংখ্যক মুসলিম নারী। সম্পাদনা : ইকবাল খান