মাকসুদা লিপি: এক দশকেরও বেশি সময় পর আবারও কয়লা উত্তোলন করতে চায় জ্বালানি মন্ত্রণালয়। ৪ খনিতে মজুদ কয়লার ২৫ ভাগ উত্তোলন করলে ২২ বছর ধরে উৎপাদন করা যাবে অন্তত ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, কয়লা উত্তোলনে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কথা বলেছেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এনিয়ে সবসময়ই ধীরে চলো নীতিতে চলে সরকার, যা প্রশ্নবিদ্ধ। অন্যদিকে কয়লা উত্তলনে বিনিয়োগ একটা বড় সমস্যা বলে মনে করেন পেট্রোবাংলার সাবেক এক চেয়ারম্যান। চ্যানেল ২৪
উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ন এলাকা যেমন দিনাজপুর আর রংপুরের বড়পুকুরিয়া, ফুলবাড়ি, দিঘীপাড়া আর খালাসপীরের মাটির নীচে রয়েছে এই মহামুল্যবান সম্পদ। এই মজুদের পরিমাণ ৩ হাজার মিলিয়ন টনেরও বেশি। অন্যদিকে জয়পুরহাটের জামালগঞ্জের মাটির গভীরে রয়েছে আরও ১ হাজার মিলিয়ন টনের মজুদ।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বললেন, অফুরন্ত এই সম্পদ ব্যবহার করতে আবারও উদ্যোগ নিচ্ছেন তারা।
এখন তেমন একটা আলোচনা না হলেও গত দশকে কি পদ্ধতিতে এই কয়লা তোলা যায় তা নিয়েই বিতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবিদ আর বাম রাজনীতিবিদরা। বিশেষকরে মাটি খুড়ে সব কয়লা তোলার পদ্ধতি- উন্মুক্ত খনন নিয়েই ঘটেছে যতো বিপত্তি। মূলত এই পদ্ধতির প্রতিবাদে ২০০৬ এ দিনাজপুরে ফুলবাড়িতে হয় বড় ধরনের প্রতিবাদ। আইনশৃংখলাবাহিনীর গুলিতে নিহত হন ৬ জন। এই ঘটনার পর থেকেই কয়লা নিয়ে আর বেশিদূর এগোয়নি সরকার।
বড়পুকুরিয়া, ফুলবাড়ি, দীঘিপাড়া আর খালাসপীরে দেড়শো থেকে ৪০০ মিটার গভীরে রয়েছে কয়লা। এসব স্থানে আন্ডারগ্রাউন্ড মাইনিং পদ্ধতিতে অন্তত ৩০ ভাগ কয়লা তোলা সম্ভব। তবে সেক্ষেত্রে নিতে হবে আধুনিক ব্যবস্থা।
দীঘিপাড়ার কয়লা তুলতে একটি সম্ভাব্যতা যাচাই ইতিমধ্যে শেষ করেছে দেশের একমাত্র কয়লা কোম্পানী বিসিএমসি। আর খালাসপীরে দেশীয় বেসরকারি কোম্পানী হোসাফ হোল্ডিং কয়লা তোলার অনুমতি চেয়ে আবেদন করলেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়নি পেট্রোবাংলা।
আপনার মতামত লিখুন :