কেএম নাহিদ : রানা প্লাজার ৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর গবেষণায় কারখানার পরিবেশ, শ্রমিকের অধিকার, ট্রেড ইউনিয়ন করার স্বাধীনতা বিষয়গুলো উঠে এসেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টান্যাশনাল বাংলাদেশ প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান মঙ্গলবার বিবিসি সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, আমাদের গবেষণায় শ্রমিকের দক্ষতার জন্য যে সমস্ত করণীয় তা আইনি দুর্বলতা আর মালিকদের মানসিকতার জন্য প্রত্যাশিতভাবে হয়নি। মালিকরা মনে করেন, শ্রমিকদের তারা কাজ দিয়েছেন এটাই বড়ো ব্যাপার। কিন্তু শ্রমিকরা যে তাদের কারখানার সবচেয়ে বড়ো প্রডাক্টটা তৈরি করছে, তা মালিকরা ভুলে গেছেন। ট্রেড ইউনিয়ন এখনো মালিকদের নিয়ন্ত্রিত লোক দ্বারা চলছে। এখনো মজুরি নিয়ে শ্রমিকদের ভেতর অসস্তুষ্টি আছে। আমরা মনে করি মালিকদের বেতন বৃদ্ধি করার সক্ষমতা আছে। তারা ২০২ ডলার বা ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধি করতে পারেন, কিন্তু করছেন না।
তিনি বলেন, আগের তুলনায় পোশাকখাতের কয়েকটি খাতে উন্নতি হয়েছে। সুশাসনের যথেস্ট উন্নতি হয়েছে। কারখানার নিরাপত্তা, শ্রমিকের মজুরি, প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার বৃদ্ধি। তবে এটা পর্যাপ্ত নয়। এর একটি মৌলিক কারণ হচ্ছে, মালিক পক্ষ অনেক সময় রপ্তানি বৃদ্ধি এবং ব্যবসা বাড়ানো যতোটা গুরুত্ব দেয়, শ্রমিকের অধিকার তাদের মান উন্নয়নে তেমন ভাবে না। যেমন মালিকদের প্রতি বছরের কর্পোরেট ট্যাক্স ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশে আনা হয়েছে। উৎস কর কমিয়ে আনা হয়েছে তারা এসব নিয়ে ব্যস্ত। বায়ারদের চাপে অগ্নিসহ অন্য ঝুঁকিগুলো কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে এটা টেকসই করার ব্যপারে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
আপনার মতামত লিখুন :