ডেস্ক রিপোর্ট : ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ নির্ণয়ে নীতিমালায় আংশিক ছাড় দেয়া হয়েছে। আগে খেলাপি ঋণ তিন মাসে শুরু হতো। এখন সেটা ছয় মাস থেকে ধরা হবে। এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন গত রোববার সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) কাছে পাঠানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) মহাব্যবস্থাপক (জিএম) একেএম আমজাদ হোসেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, খেলাপি ঋণ নীতিমালায় আংশিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। সব পক্ষের দাবির ভিত্তিতে তিন মাস ছাড় দেয়া হল। আগে তিন মাস কেউ ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে তাকে নিম্নমানের (সাব-স্ট্যান্ডার্ড বা এসএস) খেলাপি ধরা হতো।
এখন তাকে বা ওই ঋণকে তিন মাসে সাব-স্ট্যান্ডার্ড বলা যাবে কিন্তু খেলাপি বলা যাবে না। খেলাপি বলতে হলে ছয় মাস পর্যন্ত সময় দিতে হবে। একই সঙ্গে ছয় মাস হলে নির্ধারিত হারে খেলাপির বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশনও রাখতে হবে। তবে সাব-স্ট্যান্ডার্ডে কোনো প্রভিশন রাখতে হবে না বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়- আগে ব্যাংকের নিয়মিত ঋণ, চাহিদা ঋণ, স্থায়ী মেয়াদি ঋণ বা ঋণের কোনো কিস্তি ঋণ তিন মাস পরিশোধ না করলে নিম্নমানের (এসএস) খেলাপি হিসেবে ধরা হতো। এখন তা এসএস বলা যাবে কিন্তু খেলাপি বলা যাবে না। খেলাপি হবে ছয় মাস থেকে, তবে উল্লিখিত মানের খেলাপির সময় ছয় থেকে নয় মাসের নিচে থাকতে হবে। যে ঋণ নয় মাসে পরিশোধ হবে না তা ডাউটফুল (ডিএফ) বা সন্দেহজনক মানের খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবে।
এর সময়সীমা নয় মাস থেকে ১২ মাসের নিচে। আগে যা ছিল ছয় মাস। অর্থাৎ ছয় মাসে কোনো ঋণ পরিশোধ না করলে সে ঋণকে সন্দেহজনক মানের খেলাপি ঋণ বলা হতো। একইভাবে আগে কোনো ঋণ নয় মাসে পরিশোধ করা না হলে তা ব্যাড অ্যান্ড লস (বিএল) বা মন্দ মানের খেলাপি ঋণে শনাক্ত করা হতো। এখন থেকে তা ১২ মাসের পর ধরা হবে। অর্থাৎ এক বছরে কোনো ঋণ পরিশোধ না করলে সে ঋণকে কু-ঋণ বা মন্দমানের খেলাপি ঋণ বলা যাবে। এই বিজ্ঞপ্তিটি চলতি বছরের ৩০ জুন থেকে কার্যকর হবে।
সূত্র : যুগান্তর
আপনার মতামত লিখুন :