তৌহিদ এলাহী : চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি জাবেদ গুলিতে নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি তিনি বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন। এ সময় ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহত হয়েছেন বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
সোমবার রাত ১২ টার দিকে নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ জাম্বুরি মাঠের পাশে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে।
নিহত জাবেদ মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাবের আহমদ সওদাগরের শ্যালক। গণপিটুনির নামে জাবেদই মহিউদ্দিন সোহেলকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেছিল বলে জানিয়েছেন ওসি সদীপ কুমার দাশ।
সদীপ কুমার দাস আরও জানান, ‘জাম্বুরি মাঠের পাশে জাবেদসহ ৩-৪ জন বসে মাদক সেবন করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জাবেদ ও তার সহযোগিরা পুলিশে উপর গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এরই এক পর্যয়ে সন্ত্রাসীরা পিছূ হটলে সেখানে জাবেদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পরে থাকতে দেখে পুলিশ । পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাতে ও উরুতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ওসি সদীপকেও একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলি এবং ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়েছে ।
গত ৭ জানুয়ারি সকালে নগরীর ডবলমুরিং থানার পাহাড়তলী বাজারে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মহিউদ্দিন সোহেলের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পুলিশ ও বাজারের ব্যবসায়ীরা জানায়, চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ব্যবসায়ী ও জনতা মিলে মহিউদ্দিন সোহেলকে গণপিটুনি দেয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর ৮ জানুয়ারি রাতে মহিউদ্দিন সোহেলের ছোট ভাই শাকিরুল ইসলাম শিশির বাদী হয়ে নগরীর ডবলমুরিং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আপনার মতামত লিখুন :