জসিম মল্লিক : ১. যারা টরন্টো থাকেন তারা বুঝবেন বা যারা গাড়ি ড্রাইভ করেন তাদের কাছে আরো পরিষ্কার হবে ব্যাপারটা। আমি একবার একটা পিকনিক থেকে ফিরছি। আমার গন্তব্য বাঙালি অধ্যুষিত ড্যানফোর্থ এলাকা। সেখানে সন্ধ্যা সাতটায় একটা আলোচনায় যোগ দেবো। আমি সাধারণত কোনো অনুষ্ঠানে যথাসময়ে উপস্থিত থাকতে চেষ্টা করি। যারা অপেক্ষাকৃত গুরুত্বপূর্ণ মানুষ তারা একটু দেরি করে আসবেন, এটা রেওয়াজ। আমি ব্রিমলির থমসন পার্ক থেকে সাউথে যাচ্ছি। ড্যানফোর্থ রোডে রাইট নিয়ে আমি যাচ্ছিলাম। ওয়ার্ডেন পর্যন্ত এসে হঠাৎ আমার মনে হলো আমি ভুল পথে এসেছি। গাড়ি ঘুরিয়ে আমি আবার ফিরতি পথে যাচ্ছি।
ব্রিমলি আর ড্যানফোর্থ পর্যন্ত এসে আমার মনে হলো আরে আমি তো সঠিক পথেই যাচ্ছিলাম! আবার গাড়ি ঘুরালাম। ২. অনুষ্ঠানে এসে একজনকে ঘটনাটা বললাম। সে বললো বয়স বাড়লে এমনই হয়। সত্যি তাই! আপনার হয় এ রকম! পস বললো, হ্যাঁ হয়। আমি প্রায়ই ঔষধ খাওয়ার পর ভুলে যাই ঔষধটা খেয়েছি কিনা। ইউ আর গেটিং ওল্ড জসিম! শুনে আমার মন খারাপ হলো। এ প্রসঙ্গে ছোটবেলার একটা ঘটনা বলি, একবার পাঁচ টাকার একটা নোট হারিয়ে আমি পাগলের মতো হয়ে গেলাম।
মার বকা খাওয়ার ভয়ে অস্থির। ভীষণ খোঁজাখুঁজি করতে লাগলাম। একই পথে বারবার হেঁটে যাচ্ছি, যদি টাকাটা পাই! অবশেষে টাকাটা পেলাম। টাকাটা আসলে আমার হাতের মুঠোয়ই ছিলো। তখন তো আমার বয়স নয়-দশ বছর ছিলো। ৩. সুতরাং এ রকম ভুলতো হয়ই। সেটা নিয়ে লেখারই বা কি আছে। কিন্তু কেন লিখছি এবার সেটা বলি। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করে আচ্ছা ‘এলেবেলে’ কথাটার মানে কী? এই নামে আপনার একটা বইও আছে। আজকেও একজন কথাটা জিজ্ঞেস করেছে। আমি তাকে বললাম, যখন যেটা মনে আসে লিখি।
কোনো পরিকল্পনা বা চিন্তাভাবনা ছাড়াই। কোনো মাথা মু- নেই যার, তার নাম এলেবেলে। এসবের কোনো গুরুত্ব নেই। লিখে আনন্দ পাই তাই লিখি। তিনি হেসে বললেন, আমার কাছে তো ভালোই লাগে। তিনি আরো কয়েকটা প্রশংসাসূচক কথা বলেছেন যা বলতে লজ্জা পাচ্ছি। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :