মৌরী সিদ্দিকা : শিশু জায়ানের নিষ্পাপ মুখ আবারও একবার ডাক দিয়েছে বিশ্বসম্প্রদায়কে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে। শিশু জায়ানকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রাজধানীর বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি মাঠে প্রস্তুত হচ্ছে লাল কার্পেটের মঞ্চ।- চ্যানেল আই
মঙ্গলবার শ্রীলংকা থেকে শিশু জায়ানের লাশ বহনকারী বিমান ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। অবতরণের সম্ভাব্য সময় বলা হচ্ছে সকাল সাড়ে ১১ থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে। অবশ্য বুধবার লাশ আসবে বলেও বলা হচ্ছে।
এয়ারপোর্ট থেকে জায়ানের লাশ সরাসরি নিয়ে আসা হবে বনানী ২ নম্বর রোডের চেয়ারম্যান বাড়ি মাঠে। সেখানেই ১৬ বাই ১২ ফুট লাল কার্পেটের মঞ্চে রাখা হবে তাকে। এখানেই তার প্রথম জানাজা । সোমবার বিকালে জানাজার সর্বশেষ প্রস্তুতি দেখে গেছেন ঢাকা-১৭ আসনের সাংসদ আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) এমপি।
গরম বিবেচনায় জানাজায় অংশ নিতে আসা জনসাধারণের কষ্ট লাঘবে প্যান্ডেল নির্মাণ এবং পর্যাপ্ত সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন তিনি।
আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) এমপি ঘুরে যাওয়ার পরই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি মাঠ পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু করে।
দেশে এই প্রস্তুতির সময় জায়ানের পিতা মশিউল হক চৌধুরী আহত অবস্থায় শ্রীলঙ্কায় চিকিৎসাধীন। বিকালে জানায়, সন্তানের শেষ যাত্রায় তিনি থাকতে পারবেন না। আর সন্তানের মৃত্যুর সময় একই হোটেলে অবস্থান করা মা কাটাচ্ছেন চরম সময়। বাবা-মায়ের পাশাপাশি আদরের এ নাতিকে হারিয়ে প্রায় বাকরুদ্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
ছোট নাতিকে শেখ সেলিম সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন বলে জানা গেছে। তাই মেয়ের পরিবারের সকলকে রেখেছিলেন নিজের সঙ্গেই। বনানীর ২ নম্বর রাস্তার ৯ নম্বর বাড়িতে প্রতিদিন খেলায় মেতে থাকতেন।
এদিকে জায়ানের দাদা এম এইচ চৌধুরী (পারুল) এসেছিলেন শেখ সেলিমের বাসায় সান্ত¡না দিতে।
গতকাল রোববার শ্রীলংকায় ৩টি গির্জা ও ৩টি হোটেলসহ মোট ৮টি স্থাপনায় সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। যাতে ২৯০ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারায়।যার একজন জায়ান চৌধুরী৷ জায়ানের বাবা মশিউল আহত হলেও নিরাপদে রয়েছেন তার মা এবং দুই ভাই।এ ঘটনার পরই গতকাল রাতেই শেখ সেলিমের স্ত্রী ও এক পুত্র শ্রীলংকা পৌঁছেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :