নাঈম কামাল : মনিরুল ইসলাম বলেন, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশের হামলার পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজাচ্ছি। যদিও সুনির্দিষ্টভাবে এখনো কোন ধরনের সন্ত্রাসী এবং উগ্রবাদী হামলার আশঙ্কা নেই। তবুও ঢাকাসহ সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তথাপি আমরা সার্বিক বিবেচনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা আগের চেয়ে বেশি জোরদার করেছি। বিবিসি বাংলা
মনিরুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসীরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। নতুন করে সাংগঠনিকভাবে শক্তি অর্জন করতে পারেনি। বড় ধরনের অপারেশন করার জন্য যে শক্তি, মনোবল, সরঞ্জামাদি ও রসদ দরকার সেগুলো তাদের কাছে নেই বলেও আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। তবে ছোটখাট কোন ব্যক্তিবিশেষ তৎপরতা দেখাতে পারে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ থেকে যারা জঙ্গিসংগঠনে যোগ দিতে বিভিন্ন দেশে গিয়েছে তাদের অধিকাংশই নিহত হয়েছে। বাকি যদি কেউ জীবিত থাকে তারা দেশে ফেরার চেষ্টা করলে তাদেরকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মাহমুদা আক্তার বলেন, আমাদের পুলিশ, র্যাব, কিছুটা এগিয়েছে। তবে আমরা একেবারে শঙ্কামুক্ত নই। আমাদেরকে সবসময় সচেতন থাকতে হবে। এখনো বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি আটকের সংবাদ এটাই প্রমাণ করে যে, তাদের অস্তিত্ব এখনো আছে।
ঢাকা পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, যেহেতু সুনির্দিষ্ট হামলার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি সেহেতু বাংলাদেশে হামলার কোন আশঙ্কা নেই। জঙ্গিসংগঠনগুলো দুর্বল হলেও স্বস্তিতে থাকার সময় এখনো হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :