শিরোনাম
◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৩৭ দুপুর
আপডেট : ২৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৩৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নুসরাতের হত্যাকারীদের মুখ ঢেকে রাখার সুযোগ দেয়া নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা

মৌরী সিদ্দিকা : ফেনীর সোনাগাজির মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার আসামিদের অনেকেই ধরা পড়েছে। অনেকেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। -চ্যানেল আই

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আছে- মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ-উদ-দৌলা, সোনাগাজি পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম প্রমুখ।

এ বছরের প্রথম চার মাসে (এপ্রিল চলমান) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে শতাধিক। চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে সারা দেশে ৪৭ শিশু ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা ও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। গত ১৭ এপ্রিল এক বিবৃতিতে এই তথ্য প্রকাশ করেছে ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)’।

অন্যদিকে, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে সারা দেশে প্রায় ১২৩ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, চলতি বছর শুধু জানুয়ারি মাসে দেশে ৫২টি ধর্ষণ, ২২টি গণধর্ষণ এবং ৫টি ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি আরও জানায় ২০১৮ সালে ৯৪২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে সারা দেশে।

তবে একটি বিষয়ের উল্লেখ করতেই হয়। আমাদের অন্য এক সামাজিক সমস্যা যা মূলত তথাকথিত ধর্মের নামে চালিত হয়। একদল ধর্মান্ধ ধর্ষকের বিচার চাওয়ার আগে ধর্ষিতার পোশাক নিয়ে গবেষণায় আগ্রহী । মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পরেও সেই শ্রেণি সমভাবে সক্রিয়, যদিও নুসরাত তাদের চাওয়ামত বোরকা/হিজাব পরিহিত ছিল। এবং এই মামলার নারী আসামিদের সকলেই বোরকা/হিজাব পরা। এখানে নুসরাত চক্ষুশূল, কারণ সে যে নারী; আর নারী মাত্রই ‘ভোগ্য’ তাদের কাছে। এনিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। তাদের মতে ধর্ষণের সহযোগিদের মুখটা ঢাকা থাকলো কেন?

নুসরাত হত্যার নারী আসামিরা হিজাব-বোরকা পরা। তাদের মুখ দেখা যায় না। বিচার হয়ে গেলে এদের সকলেই যে ফাঁসির দণ্ড প্রাপ্ত হবে এমনও হয়ত না। ফলে দেখা যাবে একটা সময়ে তারা শাস্তি ভোগ শেষে অথবা শাস্তিকালেই উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসবে। বেরিয়ে আসার পর তারা অন্য সকলের মত সাধারণভাবেই চলাফেরা করবে। এখন বাহারি রঙ কিংবা কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে রাখায় দেশবাসী তাদের মুৃখ দেখল না, তাদেরকে চিনতে পারল না। অথচ অপরাধীর মুখটা দৃশ্যমান হওয়ার দরকার।

নুসরাতের হত্যাকারীদের আদালতে নেওয়ার ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। এই অভিযুক্তদের মধ্যকার নারী আসামিদের মুখ আড়াল করে রাখার কতখানি প্রয়োজন এনিয়ে ভাবা জরুরি। অভিযুক্ত অপরাধীর মুখ ঢাকার প্রয়োজন নেই, তাদের চেহারা প্রকাশ্য করে দেওয়া উচিত। এখানে বিধিবিধানের দোহাই দেওয়া অনুচিত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়