শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল, ২০১৯, ১০:১১ দুপুর
আপডেট : ২২ এপ্রিল, ২০১৯, ১০:১১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ছাত্রদের হাতে মারের ভয়ে থাকেন শিক্ষকরা!

পিতামাতা-সন্তানের সম্পর্কের মতো ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক এক অবিচ্ছেদ্য অনিন্দ্য সুন্দর সম্পর্ক। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক হওয়া উচিত অভিভাবকতুল্য ও বন্ধুসুলভ। শিক্ষকরা প্রথমে হবেন অভিভাবক, তারপর বন্ধু। তবে সেই বন্ধুত্বের মধ্যে সীমারেখা থাকা উচিত। আসলে ছাত্র-শিক্ষকের মাঝে সম্পর্ক হওয়া উচিত ‘ফ্রেন্ডলি’; তবে ‘ফ্রেন্ড’ নয়। ফলে অভিভাবক ও বন্ধুত্বের একটি মিশ্রণ থাকবে শিক্ষকের আচরণের মাঝে। আসলে ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক একটি চমৎকার পরিপূরক সম্পর্ক।

শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্ক হতে হবে পাত্র ও পানির মতো। পাত্র ছাড়া যেমন পানি সংরক্ষণ সম্ভব নয়, তেমনি শিক্ষক-ছাত্র সুসম্পর্ক ছাড়া জ্ঞানার্জন বিতরণও অসম্ভব। একজন শিক্ষকই শিক্ষার্থীর জ্ঞানার্জনের পেছনে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা জোগায়, স্বপ্ন দেখায়।

কিন্তু সম্প্রতি এক জরিপে উঠে এসেছে ব্রিটেনে বহু শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দ্বারা সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হন। যা পুরো বিশ্বে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

ব্রিটেনের জাতীয় পর্যায়ের শিক্ষকদের একটি ইউনিয়নের পাঁচ হাজারের মতো সদস্যদের উপর সম্প্রতি এই জরীপটি চালিয়েছে। যেখানে অন্তত ২৪ শতাংশ শিক্ষক বলছেন তারা সপ্তাহে অন্তত একবার সহিংসতার শিকার হন।

প্রতি ১০ জনে চারজন বলছেন তার মৌখিকভাবে হুমকি পেয়েছেন।

একজন শিক্ষক এ বিষয়ে জানান, মৌখিক দুর্ব্যবহার তাদের জীবনের দৈনন্দিন ব্যাপার।

তিনি বলেন, ‘আমি ৪০ বছর ধরে শিক্ষকতা করছি। আমি শিক্ষার্থীদের ব্যবহারে চরম অধঃপতন দেখছি’

তিনি আরও বলছেন, ‘তাছাড়া এখন শিক্ষকদের কাছে আশাও করা হয় যে তারা মৌখিক দুর্ব্যবহার সহ্য করবে। এমন আচরণ ঠেকাতে কোন ধরনের পদক্ষেপে কারোরই যেন কোন আগ্রহ নেই।’

আরেক শিক্ষক বলছেন, ‘আমার স্কুলতো গত কয়েক বছরে রীতিমতো একটা ভীতিকর যায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি করিডোরে বের হই এমন সময়ে যখন শিক্ষার্থীরা ক্লাসে রয়েছে। তা না হলে আমার মনে হয় যে আমি বোধহয় ওদের পায়ের নিচেই চাপা পড়ে যাবো, নতুবা ধাক্কা খেয়ে পড়ে যাবো। তা না হলে কোন ধরনের গালি খেতে হবে আমাকে।’

ব্রিটেনের শিক্ষা অধিদপ্তরের এক তথ্যমতে এমন ঘটনা বাড়ছে। সংস্থাটির হিসেবে ২০১৬/১৭ সালে ৭৪৫ জন শিক্ষার্থীকে স্কুলে কোন প্রাপ্ত বয়স্ক কর্মকর্তা, কর্মচারী অথবা শিক্ষককে শারীরিক হেনস্থার জন্য স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছিলো। প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থীকে একই অপরাধে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

৬৫৫ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছিলো মৌখিক দুর্ব্যবহারের জন্য। এর এক বছর আগে এই সংখ্যা কম ছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়