ফাতেমা ইসলাম : প্রথমবারের মতো ভোটার হতে যাচ্ছে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা। ২৩ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া হালনাগাদ কার্যক্রমে নাম উঠবে তাদের। এছাড়া হিজড়াদের সম্পত্তির অধিকারে আইনের অবস্থান কী হবে- সে বিষয়টিও আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা ভাবছে ইসি।
পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে বরাবরই অবহেলিত ও বৈষম্যের স্বীকার হিজড়া জনগোষ্ঠী। হাসি, ঠাট্টার অন্তরালে ঢাকা পড়ে থাকে নিত্যকার দুঃখ বেদনার গল্প।
‘তৃতীয় লিঙ্গ’ হিসেবে হিজড়ারা সরকারিভাবে স্বীকৃতি পায় ২০১৩ সালে। কিন্তু সেই অর্থে জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে আসেনি খুব একটা পরিবর্তন। নেই শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ কিংবা চাকরিতে নিয়োগের উপায়। তাই বাধ্য হয়ে একরকম ভিক্ষা করেই চলতে হয় তাদের।
ভোটার তালিকায় হিজড়াদের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তে খুশি অবহেলিত মানুষগুলো। জাতীয় পরিচয়পত্র পেলে অবস্থার পরিবর্তন হবে- এই আশায় আছেন তারা। আইনজীবীরা মনে করেন ভোটাধিকার স্বীকৃতি দিলে উত্তরাধিকার আইনেও পরিবর্তন করা সম্ভব। সাংবিধানিকভাবে লিঙ্গের কারণে বৈষম্য করা যাবে না, তাই মানুষ হিসেবে পূর্ণাঙ্গ অধিকার ফিরিয়ে দিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ আইনজীবীদের।
আপনার মতামত লিখুন :