মো. আল-আমিন : ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপি থেকে মোট ৬ জন প্রার্থী বিজয়ী হন। তবে এখনো দলের মৌখিক সিদ্ধান্তে কেউ শপথ নেননি। অন্যদিকে প্রার্থীরা শপথ নিলে প্যারোলে বা জামিনে মুক্তি দেয়া হতে পারে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে এমন গুঞ্জন চলছে রাজনৈতিক মহলে। ডয়চে ভেল
শপথ না নিলে এলাকায় চাপে পড়বেন একথা জানান চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি বড় নেতা নই। গ্রামে রুট লেভেলে পলিটিক্স করি। মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছে। তাই শপথ না নিলে মানুষ আমাকে মারবে। শপথ না নিলে তারা আমাকে এলাকায় যেতে নিষেধ করেছে।
তিনি বলেন, দল আমাকে মৌখিকভাবে শপথ নিতে নিষেধ করেছে। তাই আমি নেইনি। এখনো সেই সিদ্ধান্তই আছে। নতুন করে কোনো আলোচনা নেই। নির্বাচনে কারচুপির কারণেই দলের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শেষ পর্যন্ত দল শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত না নিলে কি করব সে ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।
সংবিধান অনুযায়ী সংসদের প্রথম অধিবেশনের পরবর্তী ৯০ দিনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নিতে হয়। নয়তো আসন শূন্য হয়। তবে কোনো সংসদ সদস্য যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে এই সময় বাড়িয়ে নিতে পারেন। কোনো আসন শূন্য হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উপ নির্বাচন করার বিধান রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :