হ্যাপি আক্তার : দলীয় চাপের কারণেই আপাতত শপথ নিচ্ছেন না একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্য। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নিলে বহিষ্কারের ঝুঁকি রয়েছে। রয়েছে সদস্য পদ হারানোর সম্ভাবনাও। তাই দলের সম্মতি ছাড়া শপথ নিতে চান না তারা। বিএনপি নেতারা মনে করছেন দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে কেউ শপথ নেবেন না। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন।
সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে আগ্রহের কথা জানিয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলেন একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপির নির্বাচিতরা। তবে শেষ পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে আসে নেতিবাচক ঘোষণা। বিএনপি থেকে নির্বাচিত ছয় নেতা, তারা হলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, হারুন উর রশিদ, মোশাররফ হোসেন, আবদুস সাত্তার, আমিনুল ইসলাম ও জাহিদুর রহমান। নির্বাচিত নেতারা জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য না করার পরামর্শ দিয়েছেন দলের মহাসচিব।
বগুড়া-৪ আসনে বিএনপির নির্বাচিত প্রার্থী মোশারফ হোসেন বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে শপথ নিতে চাই না। যদি সরকার নমনীয় হয়, তাহলে অবশ্যই শপথ নেয়ার বিষয়টি ভেবে দেখবো। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের নির্বাচিত প্রার্থী হারুনুর রশিদ বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কোনো পদক্ষেপ না নিতে, সে ক্ষেত্রে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।
কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অমান্য করবেন না নির্বাচতরা, এমনটাই মনে করছেন সিনিয়র নেতারা। এমনকি গণমাধ্যমের সঙ্গে এ নিয়ে কথা না বলার নির্দেশনাও রয়েছে।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, যে ৬ জন নির্বাচিত হয়েছেন তাদের নিয়ে মহাসচিব ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন। বিশ্বাস আছে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে তারা সংসদে যাবে। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে শপথ না নিলে নির্বাচনে জয়ীদের আসন শূন্য ঘোষণার বিধান রয়েছে সংবিধান।
সম্পাদনা : রাজু আহ্সান