জুয়েল খান : এবার নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের নির্বাচনের ইশতেহারে ছিলো ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থা নেয়া হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। এখন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের কারণে সরকারের সেই অবস্থান যেন দুর্বল না হয় সেজন্যই সরকার দলের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করছে বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, যতোবড় নেতাই হোক না কেন দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ হচ্ছে সরকার একটা শক্ত অবস্থানে আছে, সেখানে যদি দলের নেতাকর্মীরা দুর্নীতি এবং দলীয় শৃঙ্খলার বাইরে থাকে তাহলে এর দায়ভার পুরো আওয়ামী লীগের কাঁধে যাবে তাই প্রধানমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্ত।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগের মধ্যে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা বেড়েছে এবং এদের অপকর্মের দায় সরকারকেই নিতে হচ্ছে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রী যে সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা খুবই সময়োপযোগী এবং ইতোমধ্যে এই সিদ্ধান্ত বাস্তাবায়িত হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, ফেনীতে নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফেনীর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী একটা বার্তা দিতে চাইছেন যে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না। সময়ের দাবি অনুযায়ী দুর্নীতির বিরুদ্ধে মহাযুদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
তাই সামাজিক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক প্রত্যেকটা জায়গাতেই সুশাসন নিশ্চিত করার মতো সময় এসেছে। প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণের মাধ্যমে সেই বার্তাটাই দিয়েছেন যে, দুর্নীতি করে আর কেউ পার পাবে না। দুর্নীতি এবং অনিয়ম বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যারা ক্ষমতায় থাকে বা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকে তারাই করে। কারণ হচ্ছে যারা ক্ষমতার বাইরে থাকে তাদের বড় ধরনের অনিয়ম করার সুযোগ কম। তবে অনেকেই আওয়ামী লীগের আদর্শকে ধারণ না করেও আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে অনিয়ম করছে এবং এর দায়ভার সরকারকেই নিতে হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :