হাসনাত কাইয়ূম : একটি ‘মটর’ কেনা হইছে নবাবপুরের একটি দোকান থেকে । মটরের গায়ে ৯০০ আরপিএম-এর ষ্টিকার লাগানো আছে । বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে বোঝা গেলো এটি ৯০০ আরপিএম নয়, ১৪০০ আরপিএম-এরই, শুধু শুধু ২ হাজার টাকা বেশি রাখা হয়েছে । পরে মনে হলো আরপিএম নিয়ে যে মিথ্যা বলেছে সেকি আরো কোনো মিথ্যা বলেনি? পরীক্ষা করে দেখা গেলো, পুরনো মটর রং করে নতুন বলে চালায়ে দেয়া হইছে।
এখন ফোন করা হলে ফোন ধরে না, একজন ধরে আর একজনের কথা বলে, আর একজন আর একজনের, আর একজনের সাথে আলাপ করতে বলে ...। আপনি কি করবেন? কোথায় যাবেন? ৮ হাজার একটি যন্ত্র কি কারিগর নিয়ে গিয়ে খুলে পরীক্ষা করে কিনবেন ? ঠকলে মামলা করবেন? গ্রাম থেকে আবার ঢাকা পর্যন্ত এটা টেনে নিয়ে এসে দেন-দরবার করবেন?
এটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। ধর্ষণ বলেন, খুন বলেন, গাড়ির নীচে পিষে ফেলা বলেন, ইয়াবা পকেটে ঢুকাইয়া মামলা দেয়া বলেন, এক থানার ডিউটি রেখে পাশের থানায় গিয়ে পুলিশের ডাকাতি করা বলেন, সব কিছুরই এমন ধেই ধেই করে বেড়ে যাওয়ার মধ্যে একটা আন্তঃসম্পর্ক আছে । সে সম্পর্ক হলো সবাই জেনে গেছে রাষ্ট্রক্ষমতার সাথে একটু ঘেঁষাঘেঁষির সম্পর্ক স্থাপন করা গেলে আর কারো কাছেই জবাব দিতে হবে না। কোনো অপরাধের জন্যই কোন বিচার হবে না। খুনের মামলায় সাজা হলেও রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় বেরিয়ে আসা যায়।
এটা আগেও ছিলো, তবে আগে যা ছিলো, ৩০ তারিখের নির্বাচনের পর তা কয়েকগুণ এক লাফে বেড়ে গেছে। ৩০ তারিখের নির্বাচন মানে শুধু আপনাকে ভোট দিতে না দেওয়াই নয়, একটা ৩০ তারিখের নির্বাচন মানে যার যা ইচ্ছা, ক্ষমতা থাকলে, সুবিধা থাকলে, তাই তাই করার জন্য ‘ফ্লাডগেট’ খুলে দেয়া। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :