সমীরণ রায়: আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের পর ৩১ জুলাই সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে দীর্ঘদিন আটকে ছিলো পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা।
সঙ্গত কারণেই গত ১৫ এপ্রিল গণভবনে ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংগঠনটির কমিটি ঘোষণার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে ব্যর্থ হলে প্রয়োজনে ছাত্রলীগের বর্তমান দুই সদস্যের কমিটি ভেঙে দেওয়ারও নির্দেশ তিনি। পরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ৪ নেতা পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে ৭দিনের আল্টিমেটাম দেন ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে। এরই প্রেক্ষিতে আগামী সোমবারের মধ্যেই ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার চেষ্টা চলছে। এ তথ্য সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত ১৬ এপ্রিল আওয়ামী লীগের দায়িতপ্রাপ্ত ৪ নেতার সঙ্গে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বৈঠক করেন। এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। পরদিন ১৭ এপ্রিল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনকে ছাত্রলীগের যোগ্য নেতাকর্মীদের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরির তাগিদ দেন দলের কেন্দ্রীয় ৪ নেতা। সে অনুযায়ী সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের দুই তালিকা মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। যা আগামী সোমবার ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুয়ায়ী ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে সংগঠনটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে জানানো হয়। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ছাত্রলীগ একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা করেছে। যা আগামী সোমবারের মধ্যে ঘোষণার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগ ২৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নিজেরা কমিটি গঠন করতে ব্যর্থ হলে ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাদ্দাম হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :