হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর : মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফের ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (২০ এপ্রিল) শনিবার। তৎকালীন ইপিআর-এর চট্টগ্রামের ১১ নং উইং-এ কর্মরত এই বীরশ্রেষ্ঠ ১৯৭১ সালের এই দিনে শত্রু বাহিনীর সঙ্গে এক সম্মুখ প্রতিরোধ যুদ্ধে অদম্য সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেন। শত্রুপক্ষের ২টি লঞ্চ ও একটি স্পিডবোট ডুবিয়ে ও ২ প্লাটুন শত্রুসেনাকে খতম করেন। একপর্যায়ে ভারি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকসেনাদের একটি মর্টার সেলের আঘাতে তিনি শাহাদাতবরণ করেন। রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার একটি টিলার উপড়ে তাকে দাফন করা হয়।
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের সাবেক সালামতপুর গ্রামের মসজিদের ইমাম মেহেদি হাসানের একমাত্র ছেলে ছিলেন মুন্সি আব্দুর রউফ। এই গ্রামটির নতুন নামকরণ হয়েছে রউফনগর হিসেবে। শৈশবে পিতাকে হারিয়ে পরিবারের উপার্জনের হাল ধরতে তিনি ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর) এ যোগ দেন। তার মা মুকিদুন্নেসা বেগম মারা গেছেন। তার দুই বোনের বড় বোন বিধবা জোহরা বেগম (৬০) দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে পৈত্রিক ভিটায় রয়েছেন। আর ছোটবোন হাজেরা বেগম (৫৫) থাকেন পাশের জেলা রাজবাড়ির বালিয়াকান্দি উপজেলার সাংগুরা গ্রামে।
বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের স্মৃতিকে অমলিন রাখতে সরকার তার নিজ গ্রামে ‘বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার’ স্থাপন করেছে। ৪৮ তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে তার পরিবারের উদ্যোগে স্মৃতি জাদুঘর চত্বরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এসব আয়োজনের উদ্যোক্তা বীর শ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের বড় বোন জোহরা বেগম এতে অংশ নেয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ জানিয়েছেন। ৪৮ তম শাহাদাৎবার্ষিকীও পারিবারীকভাবেই পালন করা হচ্ছে এই বীর সন্তানের।
আপনার মতামত লিখুন :