নুর নাহার : একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বেসরকারি এয়ারলাইন্স । ১২টির লাইসেন্স থাকলেও অপারেশনে আছে তিনটি। সেগুলোও আবার দেনায় জর্জরিত। এয়ারলাইনসগুলো বলছে, অতিরিক্ত চার্জ আর জ্বালানির উচ্চ মূল্য তাদের ব্যবসা মন্দার কারণ। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশি এবং বিদেশি এয়ারলাইন্সের জন্য ভিন্ন ভিন্ন চার্জ নির্ধারণ করা প্রয়োজন। তবে এসবের কোনটিতেই ছাড় দিতে রাজি নয় সিভিল এভিয়েশন। ডিবিসি নিউজ
২০১০ সাল থেকে রিজেন্ট এয়ার এবং ২০১৫ সাল থেকে নভোএয়ার ও ইউএস বাংলা ফ্লাইট অপারেশন শুরু করে এখনও চলছে। তবে তাদের কারোই অর্থনৈতিক অবস্থা ভলো নয়। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, একটি বিদেশী সংস্থার বিমান এখানে ল্যান্ডিং করলে যে চার্জ দিতে হয় এদেশের বিমান সংস্থাগুলোকেও প্রায় একই চার্জ দিতে হয়। প্রাইভেট এয়ারলাইন্স কোম্পানীগুলোকে প্রতিদিন ক্যাশ টাকা দিয়ে ফুয়েল কিনতে হয়।
এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের জেনারেল সেক্রেটারি মফিজুর রহমান বলেন, 'আন্তর্জাতিক অপারেশন্সের চার্জগুলো আরও সহনীয় পর্যায়ে আনা উচিত। আমাদের এই উচ্চমূল্যের জন্য বিদেশী সংস্থাগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা সম্ভব হচ্ছে না।
রিজেন্ট এয়ারওয়েজের চিফ অপারেটিং অফিসার আশিষ রায় চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন সময় অর্থ ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি যে তেল এবং অন্যান্য চার্জগুলো কমানোর জন্য। অন্যথায় কোনো এয়ারলাইন্স টিকতে পারবে না।
বাংলাদেশ বিমানসহ চারটি দেশি এয়ারলাইন্সের কাছে সিভিল এভিয়েশনের পাওনা ৩ হাজার ৩শ ৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিমানের কাছ থেকেই পাওনা আছে পায় ৩ হাজার ৭৫ কোটি টাকা। বেসরকারি রিজেন্ট এয়ারওয়েজের ১শ ৯০ কোটি, ইউএস বাংলার ৪২ কোটি এবং নভোএয়ার থেকে পাওনা প্রাায় দেড় কোটি টাকা।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল নাইম হাসান বলেন, আমরা যদি হার্ডলাইনে যাই, তাহলে একদিনেই সবগুলা এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা তাদের এখনো সুযোগ দিচ্ছি যেন তারা আস্তে আস্তে বকেয়াগুলো পরিশোধ করতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :