শেখ রোকন : বাংলাদেশের এই অববাহিকা-মানচিত্র বা বেসিন ম্যাপ ভালো, বলা চলে প্রথম কাজ; কিন্তু কিছু ভ্রান্তি রয়েছে। অনেকেই ম্যাপটা শেয়ার দিচ্ছেন, আমাকে ট্যাগও করছেন কেউ কেউ। এর ডিজাইনার স্বয়ং, রবার্ট জাস্ক, গতবছর ডিসেম্বরে মূলকপি আমাকে ইমেইল করে মতামত চেয়েছিলেন। ব্রিটিশ এই ভূগোলবিদ কাজ করেন গ্রাসহুপার জিওগ্রাফি নামে একটি প্রতিষ্ঠানে। আমি বলেছিলাম, ম্যাপটাতে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা বেসিনকে অভিন্ন গঙ্গা বেসিন হিসেবে দেখানো হয়েছে। অথচ বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো দাপ্তরিকভাবে এগুলোকে আলাদা অববাহিকা মানে। একত্রে বলে ‘জিবিএম’। ম্যাপটির ভালো দিক হচ্ছে, বৃহত্তর চট্টগ্রামের নদীগুলো আলাদা করে দেখানো।
রবার্টকে বলেছিলাম, তিন বেসিন আলাদা করে আমাদের আবার একটা ‘ফুল রেজ্যুলেশন কমপ্লিমেন্ট কপি’ পাঠাতে। তিনি বলেছিলেন ৪০ ডলার খরচ পড়বে। উত্তরে বলেছি, রিভারাইন পিপল জনঅর্থে চলে; এতো ডলার এক ম্যাপের পেছনে ‘অপচয়’ করবো কীভাবে? আলোচনা ও যুক্তি পাল্টা যুক্তি এখনো চলছে। ব্রিটিশ ব্যাটা মেধার মূল্য না নিয়ে ছাড়বে না। আমিও বাঙালি, যতোক্ষণ পারি মাগনার চেষ্টা চালিয়ে যাবো। দেখা যাক, নদী না অর্থ, কার জয় হয়! ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :