জাকির তালুকদার : অ্যাকাডেমিক পড়াশোনা করেছি ইংরেজি মাধ্যমে। ভাবতাম খুব ভালো ইংরেজি জানি। কিন্তু সাহিত্যিক ইংরেজি যে কতো আলাদা তা দেখে গর্ব হারিয়ে গেছে অনেক আগেই। তবু বাংলা ছাড়া এই একটা ভাষাই যেহেতু কিছুটা জানি, তাই অন্য ভাষার সাহিত্য পড়তে হয়েছে ইংরেজিতেই। অভিধানের সাহায্য নিতে হয় প্রতি পৃষ্ঠাতেই। তবু পড়তে হয়। বিদেশি সাহিত্য পড়ার সুযোগ বেশি পাই কানাডায় অবস্থানের সময়। যে কয়মাস সেখানে থাকি, তার অর্ধেক দিনই লাইব্রেরিতে কাটাই। বাড়িতেও গাদা গাদা বই আনা যায়। তবে লাইব্রেরির পরিবেশ এতোই সুন্দর যে ঢুকলেই ৫-৬ ঘণ্টা কেটে যায়। তাই পড়ি। প্রাণ ভরে পড়ি।
মাঝে মাঝে দেশের লেখকদের সাথে তুলনা করি বিদেশি লেখকদের। তুলনা করা ঠিক কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও তুলনা করতে শুরু করে আমার পাঠক-মন। ধরুন মার্গারেট অ্যাটউড। খুব নামি লেখক। আমি রিজিয়া রহমানকে তার সাথে মিলিয়ে দেখি। রিজিয়া রহমানের ছোটগল্প দুর্বল। মার্গারেটের মতো বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনাও তিনি লেখেননি। কিন্তু উপন্যাসের তুলনা করলে রিজিয়া রহমান সিদ্ধিতে মার্গারেট অ্যাটউডের তুলনায় পেছনে নন। জন গ্রিশাম এখন খুব আলোচিত। ভালো লেখক আবার জনপ্রিয়ও বটে। কিন্তু আমাদের মঈনুল আহসান সাবের তার তুলনায় ন্যূন নন। ঝুম্পা লাহিড় তো বুকার পেয়েছেন ছোটগল্প লিখে। খুঁটিয়ে পড়েই বলছি, আমাদের আকিমুন রহমান এবং মনিরা কায়েস ঝুম্পা লাহিড়ের চেয়ে ভালো গল্প লিখেছেন। বিশ্বাস না করলে পড়ে দেখতে পারেন। লেখক : কথাসাহিত্যিক
আপনার মতামত লিখুন :